নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটল ছত্তিশগড়ে। একসঙ্গে ২৫ জনকে হত্যা করা হল। পুলিশের চর সন্দেহে বিজাপুরে ২৫ জন আদিবাসীকে নৃশংসভাবে খুন করল মাওবাদীরা। যে ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শিউরে উঠল গোটা রাজ্য। এমনকী এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কথা তারা স্বীকারও করেছে।পুলিশ সূত্রে খবর, এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বিজাপুর জেলায়। পুলিশ মাওবাদীদের কিছু গোপন কার্যকলাপ জানতে পেরে গিয়েছিল। তখন গ্রামের আদিবাসীদের মাওবাদীরা পুলিশের চর ও তথ্য সরবরাহ করেছে সন্দেহ করে তাঁদের হত্যা করে।এরপর খুনের কথা নিজেরাই প্রেস বিবৃতি দিয়ে স্বীকার করেছে মাওবাদীরা। দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোন কমিটির পক্ষ থেকে মাওবাদী নেতা বিকল্প এই প্রেস বিবৃতি প্রকাশ করে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, ওই আদিবাসীদের অপরাধ ছিল, তারা পুলিশকে মাওবাদীদের খবর পাচার করত। ২৫ জনকে বিশ্বাসঘাতক' আখ্যা দিয়ে প্রেস বিবৃতিতে মাওবাদীরা জানিয়েছে, ওই ২৫ জনের মধ্যে ১২ জন ছিলেন সিক্রেট এজেন্ট, ৮ জন পুলিশের চর এবং বাকি পাঁচজন মূলস্রোতে ফেরার চেষ্টা করেছিল। তাই তাদের গণ–আদালত বসিয়ে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। তবে মাওবাদীদের বিবৃতিতে এটা স্পষ্ট নয়, কবে এই অপারেশন চালানো হয়েছে।সূত্রের খবর, সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে কোনও একটা দিন এই অপারেশন চালানো হয়েছে। তেলঙ্গানার ভদ্রদ্রী কোথাগুদেম জেলার পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গোয়েন্দাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী মাওবাদীরা বাট্টাগুদা, কানওয়ারগাট্টা, পুসুবাকা, গঙ্গালুর–সহ বিভিন্ন গ্রামে অপারেশন চালিয়ে ১৬ জন গ্রামবাসীকে মেরে ফেলেছে।এক পুলিশ আধিকারিক জানান, মাওবাদীরা বেশ কয়েকজন গ্রামবাসীকে অপহরণ করেছে ও তাদের খুন করেছে। মাওবাদীদের মুখপাত্র বিকল্প জানান, এই আদিবাসীরা ভিজ্জা পুলিশের এজেন্ট হিসাবে কাজ করত। তাদের কাজের অনেক ক্ষতি করেছে। দলীয় সভার অনেক গোপন তথ্য চারবার এই ভিজ্জা পুলিশকে দিয়েছিল তারা। ২০২২ সালের মধ্যে মাওবাদীদের নির্মুল করে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। গোটা পরিকল্পনাটা করেছিলেন বাস্তারের আইজিপি সুন্দর, বিজাপুরের পুলিশ সুপার কমলা লোকান কাশ্যপ ও অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা।মাওবাদীদের অভিযোগ, এই বিশ্বাসঘাতকদের জন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে দিয়েছিল পুলিশ। আদিবাসীদের ওপর অত্যাচার করে মাওবাদীদের ঘাড়ে দোষ চাপানো হয়েছিল। এইসব কারণে তাদের শাস্তি দেওয়া হয়েছে।