পরমাণু হুমকির কাছে মাথা নত করবে না ভারত। স্পষ্ট ভাষায় বার্তা দিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সঙ্গে তিনি এও জানিয়ে দিয়েছেন, সন্ত্রাসবাদের কড়া জবাব দেবে ভারত। জয়শঙ্কর বলেন, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওতে সন্ত্রাসী হামলার লক্ষ্য ছিল এই অঞ্চলের পর্যটনকে ক্ষতিগ্রস্থ করা এবং ধর্মীয় উত্তেজনা তৈরি করা। গুজরাটের ভদোদরায় এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, 'আমরা দেখেছি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরের পর্যটন অর্থনীতিকে ধ্বংস করার চেষ্টা এবং ধর্মীয় বিভেদ সৃষ্টির একটি অশুভ পরিকল্পনা ছিল পহেলগাঁও জঙ্গি হামলা।' (আরও পড়ুন: নারীশক্তিকে চ্যালেঞ্জ করা যে কতটা মারাত্মক, তার প্রমাণ পেয়েছে জঙ্গিরা: মোদী)
আরও পড়ুন: ভারতের নামে আজেবাজে কথা বলা আফ্রিদিকে উষ্ণ অভ্যর্থনা কেরলের লোকজনের! শুরু বিতর্ক
আরও পড়ুন: ‘পাকিস্তানিরা আমেরিকায় আসছে’, বললেন ট্রাম্প, সাথে আপডেট ভারতের চুক্তি নিয়ে
জয়শঙ্কর বলেন, 'এই হত্যাকাণ্ডের বর্বরতার জন্য একটি দৃষ্টান্তমূলক প্রতিক্রিয়া প্রয়োজন ছিল। আর তাই সন্ত্রাসী কমান্ড সেন্টারগুলি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। বিশেষত বাহাওয়ালপুর এবং মুরিদকে।' এরপর বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর পাকিস্তানকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, 'যারা সন্ত্রাসবাদকে মদত দেয়, লালন করে এবং তাদের স্বার্থে ব্যবহার করে তাদের চড়া মূল্য দিতে হবে।' (আরও পড়ুন: চোখের তলায় কালশিটে, ওভাল অফিসে ইলন মাস্কের 'অস্বাভাবিক ব্যবহার' ঘিরে জল্পনা)
আরও পড়ুন: '১৯৪৭-এ এগিয়ে ছিল পাক', অকপট CDS, এখন মাথাপিছু GDP-র নিরিখে কত এগিয়ে ভারত?
আরও পড়ুন: মে মাসে ঝড় ২৩টি ডিফেন্স স্টকে, এক একটা শেয়ারের দাম বেড়েছে ৬১% পর্যন্ত
ভারতের কঠোর অবস্থানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা কখনও পারমাণবিক ব্ল্যাকমেইলের কাছে নতি স্বীকার করব না। ভারতের জাতীয় স্বার্থে যা কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তা নেওয়া হচ্ছে এবং নেওয়া অব্যাহত থাকবে।' জয়শঙ্কর বলেন, অনেক দেশই ভারতের আত্মরক্ষার অধিকারকে সমর্থন করে। তিনি বলেন, 'সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের আত্মরক্ষার অধিকারের বিষয়ে অন্যান্য দেশ ভারতের কথা বুঝেছে। তা দেখে বেশ ভালো লাগছে।' (আরও পড়ুন: কোয়াডের উপর ক্ষুব্ধ রাশিয়া, ভারতকে কি 'ষড়যন্ত্রে জড়ানোর' চেষ্টা চলছে?)
আরও পড়ুন: IMF-এর টাকা দিয়ে এই সব হয়… বিদেশের মাটিতে পাকিস্তানি কাণ্ড দেখে তোপ ভারতীয় MP-র
আরও পড়ুন: শশী থারুরের দাওয়াইতে কাজ দিল, রাতারাতি 'বন্ধু' হারাল পাকিস্তান
এদিকে কারও নাম না নিয়েই কিছু দেশের বিদেশনীতির সমালোচনা করেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, 'অন্য দেশের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে অনেকেই সোজাসুজি লেনদেনের পথে হাঁটছে। কূটনীতি সব সময় পারস্পরিক শ্রদ্ধার ওপর ভিত্তি করে হওয়া উচিত। আমাদের সম্পদ কম থাকতে পারে, তবে আমাদের মন অনেক বড়। ২০০ দেশের এই বিশ্বে আমরাও আমাদের দেশের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়ার চেষ্টা করি। তবে আমরা পারস্পরিক স্বার্থ এবং সুবিধার নীতি অনুসরণ করি।'