ঘটনা মধ্যপ্রদেশের। সেখানে খাজুরাহোতে, পর পর ১২ টি দোকানে ও একটি পেট্রোল পাম্পে, দোকানের বাইরে রাতারাতি আসল কিউআর কোড সরিয়ে, সেখানে প্রতারকরা অন্য কিআউআর কোড সাঁটিয়ে দিয়ে টাকা লুটের ফাঁদ পেতে ছিল। রাতের অন্ধকারে এই কীর্তি চলেছে। পরের দিন সকালে বেশ কয়েকটি দোকানে গ্রাহকরা টাকা পেমেন্ট করতে গেলে ঘটনা ঘিরে সন্দেহ হয়। তখনই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সিসিটিভি ক্যামেরা দেখে ওই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এলাকায় মেডিক্যাল সামগ্রীর দোকান হিসাবে খ্যাত রাজেশ মেডিক্যালস। সেখানে সকালে এক গ্রাহক কিউআফৎ কোডে টাকা পেমেন্ট করতেই সন্দেহ দানা বাঁধে। দেখা যায়, দোকানে যে কিউআর কোডটি রয়েছে, সেখানে টাকা পেমেন্ট করলে টাকা যাচ্ছে জনৈক ছোটু তিওয়ারি নামের কারোর অ্যাকাউন্টে। অথচ তা দোকানের মালিক ওমবতী গুপ্তার কাছে যাচ্ছে না। তখনই এই প্রতারণা নিয়ে সন্দেহ হয়। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, খাজুরাহো এলাকায়, পর পর দোকান ও পেট্রোল পাম্পে, রাতের অন্ধকারে প্রতারকরা আসল কিউআর কোডগুলি সরিয়ে ভুয়ো, অন্য অ্যাকাউন্টের কিউআর কোড সাঁটিয়ে দিয়েছে। ওই মেডিক্যাল স্টোরে লাগানো সিসিটিভিতে গোটা ঘটনা ধরা পড়ে। এদিকে, ওই দোকানে পেমেন্টের সূত্রে ছোটু তিওয়ারির নাম সামনে এসেই ছিল। পুলিশ আর কাল বিলম্ব করেনি। শেষে ঝাঁসির গুরসরাইয়ের আমালি গ্রাম থেকে ছোটু তিওয়ারিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জানা যাচ্ছে, এই প্রতারণা ফাঁদের মাধ্যমে, কিউআর কোড দিয়ে টাকা দোকানের অ্যাকাউন্টে না গিয়ে অন্যত্র পাঠানোর ফাঁদ পাতে প্রতারকরা। এদিকে, পুলিশ মনে করছে, এই গোটা কর্মকাণ্ডে আরও অনেকে জড়িত থাকতে পারে। তাদের সত্ত্বর ধরপাকড়ে তৎপর পুলিশ।
ছত্তরপুরের এসপি আগম জৈন জানিয়েছেন, আরও ২ জনকে তাঁরা গ্রেফতার করতে চলেছেন। পুলিশ, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখছে। আপাতত ১৭০০ টাকা এই প্রতারণা চক্র থেকে উদ্ধার করতে পেরেছে পুলিশ। এদিকে, এলাকার নারায়ণ মার্কেটের এক ব্যবসায়ী দাবি করেছেন, তিনি ৯৮৫ টাকা ও ১ টাকা খুইয়েছেন। তবে বাকি জায়গাগুলিতে ব্যবসায়ীদের সন্দেহ হতেই ওই কিউআরকোড সরিয়ে ফেলেন তাঁরা।