চাপের মুখে গা-ছাড়া মনোভাবের কারণে রান-আউট হয়ে যান। এমন একটা সময় সেই ঘটনা ঘটেছিল যে ম্যাচের মোড়ও ঘুরে যেতে পারত। ১১ বছর পরে আইপিএল ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন ভেঙে যেত পঞ্জাব কিংসের। শেষপর্যন্ত অবশ্য সেরকম কিছু হয়নি। বরং নিজে দায়িত্ব নিয়ে পঞ্জাবকে ফাইনালে তুলে দিয়েছেন শ্রেয়স আইয়ার। তবে সেজন্য অধিনায়কের হাত থেকে রেহাই পেলেন না শশাঙ্ক সিং। ফাইনালে ওঠার পরে মাঠেই তাঁর ‘ক্লাস’ নিলেন পঞ্জাবের অধিনায়ক। যে ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। ওই ভিডিয়ো দেখে অনেকেই মনে করছেন যে চাপের মুখে ওরকম দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে রান-আউট হওয়ার জন্য শশাঙ্ককে তুমুল গালিগালাজ করেছেন শ্রেয়স।
আর তা দেখে নেটিজেনদের অনেকে বলতে শুরু করেছেন যে ভাগ্যিস শশাঙ্ক রান-আউট হওয়ার পরেও পঞ্জাব জিতে গিয়েছে। পঞ্জাব যদি কোনওভাবে হেরে যেত, তাহলে শ্রেয়সের রুদ্ররূপে পুরোপুরি ছারখার হয়ে যেতেন শশাঙ্ক।
আরও পড়ুন: ভালো পরিবেশে থাকতে চাইছিলাম! PBKS-কে ফাইনালে তুলেই সোজা KKR-কে ঠুকলেন শ্রেয়স?
সেটা অবশ্য শেষপর্যন্ত হয়নি। কিন্তু মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে যেভাবে রান-আউট হয়ে যান শশাঙ্ক, তা সত্যিই অমার্জনীয় বলে মনে করছেন অনেকে। আইপিএল ফাইনালে পৌঁছানোর জন্য ২১ বলে পঞ্জাবের যখন ৩৫ রান দরকার ছিল, তখন মিড-অনের দিকে বল ঠেলে এক রান নিতে দৌড়ান শশাঙ্ক।
আচমকা দৌড়ানোর গতি কমিয়ে বিপদ ডেকে আনেন শশাঙ্ক
প্রাথমিকভাবে শশাঙ্ক স্বাভাবিক ছন্দেই দৌড়াচ্ছিলেন। কিন্তু পিচের মাঝামাঝি এসে আচমকা আলসেমি করে বসেন। গতি কমিয়ে হেলেদুলে যেতে থাকেন। তারপরই দেখেন যে মিড-অন থেকে হার্দিক পান্ডিয়ার থ্রো'টা ছুটে আসছে। তখন গতি বাড়িয়ে ক্রিজে পৌঁছানোর চেষ্টা করলেও ডিরেক্ট থ্রোয়ের কারণে রান-আউট হয়ে যান শশাঙ্ক। যা দেখে ধারাভাষ্যকার বলতে থাকেন, এই ঘটনায় একেবারেই প্রসন্ন হবেন না পঞ্জাবের হেড কোচ রিকি পন্টিং।
আরও পড়ুন: মিলল না নীতা আম্বানির ভবিষ্যদ্বাণী, তাহলে কি পরিবর্তনের পথে MI? হার্দিক-মাহেলার কী হবে?
শশাঙ্কের ভূত ভাগালেন শ্রেয়স
পঞ্জাবের হেড কোচ প্রসন্ন না হয়ে কিছু বলেছেন কিনা, তা স্পষ্ট না হলেও ম্যাচের পরে শ্রেয়সের রোষের মুখে পড়েন শশাঙ্ক। ভাইরাল ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে মুম্বই এবং পঞ্জাবের খেলোয়াড়দের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন শ্রেয়স। মুম্বইয়ের এক খেলোয়াড়ের সঙ্গে আলিঙ্গনের পরে শশাঙ্ককে দেখতে পান। আর তারপর চূড়ান্ত রেগে উত্তপ্ত ভঙ্গিমায় কিছু বলতে থাকেন। আর শ্রেয়সের ঠোঁটের ওঠানামা দেখে অনেকে নিশ্চিত যে গালাগালি দিয়ে শশাঙ্কের ভূত ভাগিয়েছেন পঞ্জাবের অধিনায়ক।
'অর্ধেক কাজ হয়েছে’, ফাইনালে ফোকাস শ্রেয়সের
যদিও সেই বিষয়টি সেখানেই শেষ হয়ে যাবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। আপাতত শ্রেয়সদের যাবতীয় ফোকাস ফাইনালের দিকে রয়েছে। একদিন পরেই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (আরসিবি) বিরুদ্ধে ফাইনাল খেলতে নামবে পঞ্জাব। আর সেই ম্যাচটার উপরে এতদিনের সব পরিশ্রম নির্ভর করছে। যা খুব ভালোভাবেই জানেন শ্রেয়স। তাই দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে জয়ের পরে তিনি বলেন, ‘এখনও অর্ধেক কাজ হয়েছে।’