বহু বছর ধরে বৈবাহিক ধর্ষণের মতো বিষয় চর্চিত হয়েছে। এই বিষয়ের পিটিশনে সুপ্রিম কোর্ট কোন বার্তা দেয়, সেদিকে তাকিয়ে দেশ।
বৈবাহিক ধর্ষণ নিয়ে ১৩ অগস্ট থেকে একাধিক পিটিশনে শুরু শুনানি।
বৈবাহিক ধর্ষণ সম্পর্কিত মামলায় এবার একগুচ্ছ পিটিশনের প্রেক্ষিতে শুনানি শুরু হতে চলেছে সুপ্রিম কোর্টে। বৈবাহিক ধর্ষণের ক্ষেত্রে স্বামীকে অপরাধ থেকে ছাড় দেওয়া উচিত কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে, একাধিক পিটিশন দায়ের হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সেই নিরিখে পিটিশনগুলি নিয়ে আগামী সপ্তাহে ১৩ অগস্ট সুপ্রিম কোর্টে শুনানি শুরু হবে।
সিনিয়ার আইজীবী ইন্দিরা জয়সিং ও করুণা নন্দী এই মামলাগুলির উল্লেখ করার পর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহে মঙ্গলবার অর্থাৎ ১৩ অগস্ট থেকে এই মামলাগুলির শুনানি দেশের শীর্ষ কোর্টে শুরু হতে পারে। ভারতীয় দণ্ড বিধিতে ৩৭৫ ধারার ব্যাতিক্রম সম্পর্কিত কিছু মামলার পিটিশন রয়েছে সুুপ্রিম কোর্টে। সেখানে, যেখানে স্ত্রীর সঙ্গে জোরপূর্বক যৌন সঙ্গমে একজন স্বামীকে ধর্ষণের অপরাধ থেকে অব্যাহতি দেয়। এই বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ করে পর পর পিটিশন দায়ের হয়েছে। সেখানে বিবাহিত মহিলাদের বিষয়ে বৈষম্যের প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, যাঁরা স্বামীর দ্বারা যৌন নির্যাতিত হচ্ছেন, তাঁদের কথা তোলা হচ্ছে। এছাড়াও এই সংক্রান্ত একটি মামলায় গত ২০২২ সালের মে মাসে দিল্লি হাইকোর্টের একটি রায় ভাগাভাগি হয়ে রয়েছে, সেই মামলাও গড়িয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত পর্যন্ত। উল্লেখ্য, সেবার দিল্লি হাইকোর্টের রায়ে, বৈবাহিক ধর্ষণে স্বামীকে অপরাধী করা হবে কি না সংক্রান্ত প্রশ্নে দ্বিধা বিভক্ত ছিল। একপক্ষ বলেছিল, এটি আইন লঙ্ঘন করছে না, অপরপক্ষ বলেছিল এটি নৈতিকভাবে বিরোধী। সেই জায়গা থেকে এই ক্ষেত্রে শেষ কথা কী হতে পারে, তা নিয়ে সকলে সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্যের দিকে তাকিয়ে।
উল্লেখ্য, বহু বছর ধরে বৈবাহিক ধর্ষণের মতো বিষয় চর্চিত হয়েছে। নির্ভয়া ধর্ষণ মামলায় বিচারপতি ভার্মা কমিটিও বৈবাহিক ধর্ষণের জন্য আলাদা আইনের কথা বলেছিল। এদিকে, সদ্য আইপিসি, সিআরপিসি এবং ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্ট- এই তিনটি আইনে, বদল এনেছে মোদী সরকার। এদিকে, কিছুদিন আগে, এলাহাবাদ হাইকোর্টের একটি রায়ে বলা হয়েছে, স্ত্রীর বয়স যদি ১৮ এর বেশি হলে ভারতীয় দণ্ডবিধির আইনে তা অপরাধ নয়। এই মামলায় স্বামীর বিরুদ্ধে মৌখিক ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ এনেছিলেন এক মহিলা। সেই মামলাতেই ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে এলাহাবাদ হাইকোর্ট ওই রায় দিয়েছিল। এরপর নতুন করে এই বিষয় সংক্রান্ত পিটিশনে সুপ্রিম কোর্ট কোন রায় দেয়, সেদিকে তাকিয়ে সকলে।