প্রীতম কোটাল বলছেন, ‘আমারও আজ ওখানে প্রতিবাদে যাওয়ার কথা ছিল কিন্তু অনুশীলনের জন্য যেতে পারিনি। আমি একজন ফুটবলার হিসেবে একটা বিষয় গর্ববোধ করি যে আমি এমন একটা বাংলায় বাস করি, যেখানে এরকম ফুটবলপ্রেমীরা আমাদের ভালোবাসে। যারা সমাজের এমন দুঃসময় দুই প্রধানের লড়াই ভুলে এক হয়ে যেতে পিছু পা হয়না ’।
‘আমি গর্বিত যে এই সমর্থকরা আমায় ভালোবাসে’! ইস্ট-মোহনের প্রতিবাদ দেখে বললেন প্রীতম কোটাল। ছবি- আইএসএল
রবিবার কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তেই আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে খুন এবং ধর্ষণকাণ্ডের প্রতিবাদে পথে নামে মানুষ। উত্তর কলকাতার শ্যামবাজার সংলগ্ন এলাকায় আগেই প্রতিবাদ মিছিল বা যে কোনওরকমের জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল, বলা ভালো ১৪৪ ধারা। এই আবহেই রবিবার সল্টলেক স্টেডিয়ামের বাইরে প্রতিবাদে সামিল হন মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকরা। সেখানে প্রতিবাদ জানাতে উপস্থিত হন মোহনবাগান দলের অধিনায়ক শুভাশিস বোস। বাগানের আরেক আইএসএলজয়ী অধিনায়কও দুই প্রধানের সমর্থকদের ঐক্যতাকে জানালেন কুর্নীশ।
তরফে আগেই আঁচ করা হয়েছিল আরজি কর কাণ্ডের প্রভাব পড়বে ডার্বি ম্যাচে, সেটা নিরাপত্তার দিক থেকে হোক বা গ্যালারি মুড়ে ফেলা হতে পারে প্রতিবাদের পোস্টারে। শনিবারই ডুরান্ড কাপ কমিটির সঙ্গে বৈঠকের পর জানিয়ে দেওয়া হয় রবিবারের ম্যাচ বাতিল করা হয়েছে। দুই প্রধানের কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচও কলকাতায় নয়, দেওয়া হয় শিলং এবং জামশেদপুরে। সেমিফাইনাল বা ফাইনাল আদৌ কলকাতায় হবে কিনা সেই নিয়েও প্রশ্নচিহ্ন রয়েছে। এরই মধ্যে ফুটবলপ্রেমীদের সঙ্গে প্রতিবাদের সুর মিলিয়ে দিল মোহনবাগানের দুই আইএসএলজয়ী অধিনায়ককে।
মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের পাশাপাশি রবিবার সল্টলেকে প্রতিবাদে সামিল হন মহমডোন সমর্থকরাও। বাংলার ফুটবলের এমন প্রতিবাদে গর্জে ওঠা দেখে দেখে মোহনবাগানের প্রথম আইএসএলজয়ী অধিনায়ক প্রীতম কোটাল বলছেন, তিনি গর্বিত যে এই সমর্থকরা তাঁদের সমর্থন করে। নিজে সশরীরে উপস্থিত থাকতে না পারলেও HT বাংলাকে দিলেন প্রতিক্রিয়া।
প্রীতম কোটাল বলছেন, ‘আমি আগেই সোশাল মিডিয়ায় লিখেছিলাম এই ঘটনার আমাদের সমাজের জন্য ভালো উদাহরণ নয়। এই ঘটনার যাতে বিচার যাতে হয়। আমি এটুকু বলতে পারি, আমি যেহেতু ক্রীড়াবিদ, আমি ভেবেছিলাম খেলাটা হয়ত হবে, এটা অন্য খেলার ক্ষেত্রেও হওয়া উচিত না। আমারও আজ ওখানে প্রতিবাদে যাওয়ার কথা ছিল কিন্তু আমার অনুশীলনের জন্য যেতে পারিনি, যেহেতু আমিও একটা দলের সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। আজকে কলকাতার ফুটবলপ্রেমীরা দেখিয়ে দিল। তবে আমি একজন ফুটবলার এবং ফুটবলপ্রেমী হিসেবে একটা বিষয় গর্ববোধ করি যে আমি এমন একটা বাংলায় বাস করি, যেখানে এরকম ফুটবলপ্রেমীরা আমাদের ভালোবাসে। যারা সমাজের এমন দুঃসময় দুই প্রধানের লড়াই ভুলে এক হয়ে যেতে পিছু পা হয়না ’।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।