রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলের কাছে খবর এসেছিল জাল ওষুধ ছড়িয়ে পড়েছে বাংলায়। এই কাজের পিছনে আছে একটি চক্র। এই খবর পেয়ে জাল ওষুধ কারবারিদের ধরতে হাওড়ার আমতায় একটি গুদামে হানা দেয় ড্রাগ কন্ট্রোলের অফিসাররা। আর সেখান থেকে রক্তচাপের জাল ওষুধের সন্ধান মিলেছে। আপাতত মাত্র ১৭ লক্ষ টাকার ওষুধ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এখনও ১ কোটি ৪৯ লক্ষ টাকার জাল ওষুধ ধরা পড়েনি। ব্লাড প্রেশারের নামী ব্র্যান্ডের আড়ালে ওষুধ জাল চক্র নিয়ে চোখ কপালে উঠেছে ড্রাগ কন্ট্রোলের অফিসারদের। জাল ওষুধ বিক্রির অভিযোগে বৃহস্♔পতিবার রাতে আমতার মান্না এজেন্সির মালিক বাবলু মান্নাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল অফিসাররা ওই ওষুধ এজেন্সির গোডাউন ‘সিল’ দিয়েছে। ওই ব্যক্তি বিহারের পাটনা থেকে ১ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকার ‘জাল’ ওষুধ কেনে বলে অভিযোগ।
এদিকে বাংলায় এখন ১ কোটি ৬৯ লক্ষ টাকার জাল ওষুধ ছড়িয়ে পড়েছে। যা মানুষের শরীরে গেলে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। এমনকী মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। কিন্তু এইসব ওষুধের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ ঘিরে বড় মাপের কেলেঙ্কারি ধরা পড়েছে। এদিন রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলের অফিসাররা আমতার হোলসেলের গুদামে হ𒁃ানা দিয়ে এই উদ্বেগজনক তথ্য পেলেন। ড্রাগ কন্ট্রোল সূত্রে খবর, জাল ওষুধের চক্রে একাধিক ডিস্ট্রিবিউটর যুক্ত আছে। আর তাই সকল ডিস্ট্রিবিউটরের মাধ্যমেই গোটা রাজ্যে জাল ওষুধের রমরমা ছড়িয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ। অনেক তথ্য জানাই এখন ড্রাগ কন্ট্রোলের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ, উচ্চ রক্তচাপের জাল ওষুধে রোগীদের হৃদযন্ত্র বিকল হতে পারে।
আরও পড়ুন: বসিরহাটের জেলা বিজেপি সভাপতির বিরুদ্ধে পড়ল পোস্টার, কার্যালয়ে ঝুলল তালা
অন্যদিকে এই জাল ওষুধের কারবারের দায়ে হোলসেলার বাবলু মান্নাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আপাতত এই বাবলু মান্নাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এখন নতুন কোনও তথ্য উঠে আসে কিনা সেটাই দেখা হচ্ছে। এমনকী এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত নতুন কোনও ব্যক্তির খোঁজ পাওয়া যায় কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই বিষয়ে বেঙ্গল কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের জেনারেল সেক্রেটারি পৃথিবী বোস বলেন, ‘ꦿআমরা এই༒ ঘটনায় অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। কারণ ওষুধের কিউআর কোড নকল করা হয়েছে। ২০২৩ সাল থেকে ৩০০ ওষুধের উপর কিউআর কোড দেওয়া হয়েছে।’ ধৃত বাবলু মান্নাকে ১৪ দিন জেল হেফাজত দিয়েছে আদালত।
এছাড়া এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কীর্তি আজাদ। আজ, শনিবার দুর্গাপুরে সাংসদের বক্তব্য, ‘ভুয়ো ওষুধের জন্য মৃত্যু হচ্ছে হাজার হাজার মানুষের। এর দায় কেন্দ্রীয় সরকারের। যাদের লাইসেন্স দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার তারাই ভুয়ো ওষুধের কারবার করছে। আর সেই ওষুধ খেয়ে কোনও কাজ হচ্ছে না রোগীদের। সেই কারণেই মৃত্যু হচ্ছে হাজার হাজার মানুষের। আর বাড়ির লোকেদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে চিকিৎসকদের। কিন্তু এসবের জন্য আসল দায়ী কেন্দ্রীয় সরকার। আমি এসবের বিরুদ্ধে লড়ছি। যতদূর যাওয়ার যাব।’ আর মেট্রো ফার্মার সোমনাথ ঘোষের কথায়, ‘পা🃏ইকারি ব্যবসায়ীরা সারা রাজ্যের খুচরো ব্যবসায়ীদের ওষুধ সরবরাহ করে থাকে। আমাদের উদ্বেগের কারণ হচ্ছে, এইসব নামজাদা ক♔োম্পানির ওষুধ হুবহু নকল করা হয়েছে।’