গত ১৩ জানুয়ারি ময়নাগুড়িতে ট্রেন দুর্ঘটনায় ইঞ্জিনের রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে ত্রুটির বিষয়টি সামনে এসেছিল। এবার রক্ষণাবেক্ষণে কেন গাফিলতি করা হয়েছিল তা জানতে চেয়ে উত্তর সীমান্ত রেলের জেনারেল ম্যানেজারকে চিঠি পাঠালেন রেলওয়ে সেফটি কমিশনার। একইসঙ্গে নির্দিষ্ট স্টেশনে ইঞ্জিন পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো তৈরি করারও নির্দেশ দিয়েছেন রেলওয়ে সেফটি কমিশনার।রেল সূত্রের খবর, গত বৃহস্পতিবার এনিয়ে রেলওয়ে কমিশনার উত্তর সীমান্ত রেলের জেনারাল ম্যানেজার কে চিঠি দিয়েছেন। প্রাথমিকভাবে দুর্ঘটনার পর এই তদন্তে ইঞ্জিনের ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ না করার বিষয়টি উঠে এসেছিল। বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেসে রয়েছে ২২৩৭৫ নম্বরের ডব্লিউএপি-৪ শ্রেণির ইঞ্জিন। নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি সাড়ে চার হাজার কিলোমিটার চলার পর এই ইঞ্জিন পরীক্ষা করতে হয়। কিন্তু, খতিয়ে দেখা গিয়েছে ১৮ হাজার কিলোমিটার চলার পরেও এই ইঞ্জিনের কোনও রকমের পরীক্ষা করা হয়নি। শুধু তাই নয়, এর ইঞ্জিন শুধুমাত্র একটি ট্রেনে ব্যবহার করা হয়নি। বিভিন্ন ট্রেনে ব্যবহার করা হয়েছে। তার ওপর ইঞ্জিন পরীক্ষা করা হয়নি। উল্টে পরীক্ষার নির্ঘণ্ট ফেলে রাখা হয়েছিল। নিউ কোচবিহার স্টেশন এই ইঞ্জিন পরীক্ষার নির্ঘণ্ট ফেলা হলেও কোনও ধরনের বৈদ্যুতিন পরীক্ষা করা হয়নি বলে জানা গিয়েছিল। সেই কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে অনুমান তদন্তকারী ইঞ্জিনিয়ারদের।প্রসঙ্গত, গত ১৩ জানুয়ারি ময়নাগুড়িতে বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়ে এক বগি আরেক বগির উপরে উঠে গিয়েছিল। যার ফলে মৃত্যু হয়েছিল ৯ জনের। এছাড়াও আহত হয়েছিলেন বহু মানুষ।