শপিং মলে কাজ করতেন দেবিকা মাইতি। বাড়ি নামখানায়। অন্য়ান্যদিনের মতোই কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। কিন্তু রাত গভীর হলেও তবু বাড়ি ফেরেননি দেবিকা। শেষ পর্যন্ত রেললাইনের ধার থেকে উদ্ধার হল ওই তরুণীর দেহ। উকিলের হাট ও নামখানা স্টেশনের মাঝে রেললাইনের ধারে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিল ওই তরুণীর দেহ। এদিকে গোটা ঘটনায় রহস্য দানা বেঁধেছে। শপিং মল বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরেও তিনি বাড়ি না ফেরায় পাড়া প্রতিবেশীরা খোঁজাখুঁজি শুরু করে। শেষ পর্যন্ত রেললাইনের ধার থেকে উদ্ধার হয় লাশ। কিন্তু কীভাবে এই ভয়াবহ পরিণতি হল দেবিকার?স্থানীয়দের দাবি, সম্ভবত কেউ খুন করে তাকে রেললাইনের ধারে ফেলে দিয়েছিল। হয়তো ট্রেন থেকে তাকে রেললাইনে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এমনটাও সন্দেহ করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এদিকে রেলপুলিশ ইতিমধ্যে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। কিন্তু এই মৃত্যুর পেছনের কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে এমন কোনও প্রমাণ প্রাথমিকভাবে পাওয়া যায়নি। কিন্তু রেললাইনের ধারে তার দেহ এল কীভাবে? সেই প্রশ্নেরই উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছে পুলিশ। এদিকে দেবিকার মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছে পরিবার। শপিং মলে কাজ করে সংসারটিকে দাঁড় করানোর চেষ্টা করছিলেন তিনি। তাঁর অস্বাভাবিক মৃত্যুতে অন্ধকার নেমে এসেছে পরিবারে।