শত শতাংশ ভোট গণনা যাতে ভিভিপ্যাটেই করা হয়, সেজন্য হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। তবে তাঁর সেই মামলা পত্রপাঠ খারিজ করে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।এবার হাইকোর্টের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছেন বনগাঁর তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল শেঠ।এই প্রসঙ্গে সোমবার বনগাঁয় এক সাংবাদিক সম্মেলনে গোপালবাবু জানান, ভিভিপ্যাটে ১০০ শতাংশ ভোটগণনা করার জন্য ৫ এপ্রিল তিনি সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানাবেন। তিনি বলেন, ‘ আমি মনে করছি নির্বাচন কমিশন একটি রাজনৈতিক দলের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। সেজন্য তারা ভিভিপ্যাট দিয়ে ভোট গণনার ব্যাবস্থা করছে না। সেকারণে এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানাচ্ছি।’তিনি আরও জানান, নির্বাচনে স্বচ্ছতা বজায় রাখার ব্যাপারে নির্দেশ রয়েছে সুপ্রিম কোর্টের। সেই নির্দেশ অনুযায়ী, অল্প সংখ্যক ভিভিপ্যাট গণনা না—করে, সবক’টি গণনা করুক কমিশন। তাতে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় আরও স্বচ্ছতা আসবে ।উল্লেখ্য, নির্বাচনে ১০০ শতাংশ ভোট ভিভিপ্যাটে গণনার দাবিতে সম্প্রতি হাইকোর্ট মামলা দায়ের করেছিলেন গোপালবাবু। তবে সেই মামলা খারিজ করে দেয় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি থোট্টাথিল ভাস্করণ নায়ার রাধাকৃষ্ণণের ডিভিশন বেঞ্চ।মামলা চলাকালীন ডিভিশন বেঞ্চ নিজের পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিল, মামলাকারীর ভিভিপ্যাট গণনার আবেদন যেহেতু নির্বাচন কমিশন খারিজ করে দিয়েছে, সেকারণে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের ওপর আদালতের হস্তক্ষেপ করার কোনও প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে মনে করছে না—আদালত। এর পরেই এই মামলা খারিজ করার নির্দেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। পাশাপাশি হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ এই মামলার পূর্ববর্তী খারিজের নির্দেশও বহাল রেখেছে ডিভিশন বেঞ্চ।এদিকে গোপাল শেঠের এই পদক্ষেপ নিয়ে স্থানীয় বিজেপি নেতা দেবদাস মণ্ডল কটাক্ষের সুরে বলেন, ‘ তাঁর ইচ্ছা হলে উনি উনি সুপ্রিম কোর্টে যেতেই পারেন। তবে মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপিকে ভোট দেবেন। হেরে যাবে জেনে তাই উলটো-পালটা অভিযোগ করছেন। ওনাদের মাথা নষ্ট হয়ে গিয়েছে।’প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, প্রথমে ইভিএমে ভোট গণনা করা হয়। সেই প্রক্রিয়া শেষ হলেই দ্বিতীয় ধাপে ভিভিপ্যাটে গণনা করা হয়।ভিভিপ্যাটে ভোট গণনা করার জন্য বিধানসভা পিছু ৫টি করে বুথ লটারির মাধ্যমে বাছাই করা হয়। পর্যবেক্ষক প্রার্থী বা তাঁর প্রতিনিধির উপস্থিতিতে রিটার্নিং অফিসার সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। তবে মামলাকারীর দাবি ছিল, এসব না—করে, সব কেন্দ্রে ১০০ শতাংশ ভিভিপ্যাট গণনা করুক কমিশন।