রাত পোহালেই শুরু হচ্ছে গঙ্গাসাগর মেলা। গঙ্গাসাগর মেলায় কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সেদিকে নজর দিতে নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুণ্যার্থীরা বাবুঘাট, আট নম্বর লট এবং কচুবেড়িয়া হয়ে গঙ্গাসাগরে পৌঁছে থাকেন। আজ মঙ্গলবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই চার নদীঘাটের দায়িত্ব ভাগ করে দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী ও বিধায়কদের মধ্যে। ওপার বাংলা থেকে যাতে কোনও সমস্যার সৃষ্টি না হয়, সে দিকেও নজর রাখার কথাও জানান মুখ্যমন্ত্রী। এদিন গঙ্গাসাগর মেলা উপলক্ষ্যে তিনটি বই প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। মেলার অ্যারেঞ্জমেন্ট বুকলেট, সাগর সংবাদ এবং পর্যটন তথ্য সম্বলিত পত্রিকা সুন্দরী দক্ষিণী।
এদিকে আজ মঙ্গলবার কলকাতায় ফিরে আসার আগে গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি, থেকে শুরু করে সমস্ত ব্যবস্থা এবং নিরাপত্তা–সহ নানা বিষয় নিয়ে বিস্তারিত তথ্য দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে যেন কোনও নেগেটিভ ন্যারেটিভ তৈরি না হয় সেটা দেখতে হবে সকলকে। কোনও সমস্যা হলে প্রশাসনকে জানান। সমাধান হবে। কিন্তু বদনাম করবেন না।’ তারপরই বইগুলি মুখ্যমন্ত্রীর হাতে যেতেই ভ্রু কুঁচকে দেখেন। বইগুলি দেখে প্রশ্ন করেন, ‘এটা তো ইংরেজি। বাংলা কোথায়?’ জবাবে জেলা শাসক বললেন, ‘সেটা করা হয়নি।’ মুখ্যমন্ত্রীর পাল্টা প্রশ্ন, ‘থাকো বাংলায়, বাংলায় না করলে হয়?’
আরও পড়ুন: অর্জুন সিংকে তলব করল পুলিশ, পুত্র পবনকে পৃথক মামলায় ডেকে পাঠাল সিআইডি
অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ জানান, মেলার সময় পর্যাপ্ত চিকিৎসক, এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, ওয়াটার অ্যাম্বুল্যান্স এবং প্যারামেডিক্যাল কর্মীর ব্যবস্থা থাকবে। বাংলা, হিন্দি, ওড়িয়া, ইংরেজি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি ভাষায় ঘোষণার ব্যবস্থাও থাকবে এই মেলা প্রাঙ্গণে। আর পুণ্যার্থীদের জন্য প্লাস্টিক ব্যাগের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব ব্যাগ দেওয়া হবে। আজ গঙ্গাসাগর থেকে ১৬১ কোটি টাকার প্রকল্প উদ্বোধন এবং শিলান্যাস করা হয়েছে। সাগর ব্লকে মোট ১৭টি অঙ্গনওয়াড়ি থেকে একাধিক রাস্তার উদ্বোধন করা হয়েছে। আর উদ্বোধন হয়েছে গোসাবা, নামখানা, পাথরপ্রতিমা ব্লকে ১২টি জেটি, চালতাদুনিয়া, পাখিরালয়ের মধ্যে ৪টি ভেসেল চালু করা হয়েছে। একাধিক জেটি, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, গড়ে তোলার কাজ হয়েছে।