কলকাতার বেশ কিছু এলাকায় জলের সমস্যা মেটাতে তৎপর হয়েছে পুরসভা। এর জন্য সেই সমস্ত এলাকাগুলিতে ক্যাপসুল বুস্টার পাম্পিং স্টেশন বসানোর পরিকল্পনা করছে কলকাতা পুরসভা৷ চলতি সপ্তাহের শুরুতে মেয়র-ইন-কাউন্সিলের বৈঠকে এই জাতীয় দুটি স্টেশনের প্রস্তাব পাস করা হয়েছে। যার মধ্যে একটি স্টেশন গড়ফা–হালতু বেল্টের যাদবগড়ে, অন্যটি টালিগঞ্জ–যাদবপুর বেল্টের অধীনে নে𒈔তাজিনগর এলাকায় বসানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।
পুরসভার জল সরবরাহ বিভাগের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এই ক্যাপসুল বুস্টার পাম্পিং স্টেশনগুলি বসানোর জন্য রাজ্য সরকারে🅠র কাছে ইতিমধ্যেই প্রয়োজনীয় তহবিল চেয়ে পাঠানো হয়েছে। এই স্টেশনগুলি টালিগঞ্জ এবং হালতু, গড়ফা এলাকার বাসিন্দাদের ভূগর্ভস্থ জলের সমস🌞্যা থেকে মুক্তি দেবে। পাশাপাশি, জলের চাহিদাও মিটবে। পুরসভার জল সরবরাহ বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, হালতুতে প্রস্তাবিত এই ক্যাপসুল বুস্টার পাম্পিং স্টেশনটি যাদবগড়, বৈদ্যপাড়া, আসুতোষ কলোনি, শরৎ বোস কলোনি সহ অন্যান্য এলাকায় বিশুদ্ধ পানীয় জলের চাহিদা পূরণ করবে। অন্যদিকে, সুভাষ পল্লী পার্কে যে ক্যাপসুল বুস্টার পাম্পিং স্টেশন বসানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে তা নেতাজিনগর এবং শ্রী কলোনির কিছু অংশের বাসিন্দাদের পানীয় জলের চাহিদা পূরণ করবে।
প্রসঙ্গত, যাদবগড় এবং নেতাজিনগরের কিছু অংশের বাসিন্দারা এখনও ভূগর্ভস্থ জলের উপর নির্ভরশীল। পুরসভা ভূগর্ভস্থ জলের ব্যবহার বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে বুস্টার পাম্পিং স্টেশন বসানো হলে জলের সমস্যা মিটবে বলেই মনে করছেন স্থানীয় কাউন্সিলর অরূপ চক্রবর্তী। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছরের মধ🌠্যে এই পাম্পিং স্টেশনগুলি বসানোর কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন পুরসভার এক আধিকারিক। এর পাশাপাশি গ্রীষ্মের সময় যাতে পানীয় জলের সমস্যা দেখা না দেয় তার জন্য তৎপর হয়েছে পুরসভা। বিশেষ করে পূর্ব মেট্রোপলিটন বাইপাস এবং সংলগ্ন এলাকায় প্রয়োজনীয় জল সরবরাহ করার জন্য পুরনো জলের পাইপগুলি সরিয়ে নতুন জলের পাইপ বসানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে৷ এরজন্য জলের পাইপও সংগ্রহ করা হচ্ছে৷ সেগুলি প্রতিস্থাপনের জন্য পুরসভার কাছে তহবিল চেয়েছে জল সরবরাহ বিভাগ।