কোন অবস্থায়🎀 এবং কেন গতকাল (বৃহস্পতিবার - ১৫ মে, ২০২৫) রাতে বি✨কাশ ভবনের সামনে পুলিশকে লাঠি চালাতে হয়েছিল, কেন আন্দোলনকারীদের সঙ্গে তাঁদের ধস্তাধস্তি হয়েছিল, বিশদে সেই ব্যাখ্যা দিয়েছেন রাজ্য পুলিশের এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার।
আজ (শুক্রবার - ১৬ মে, ২০২৫) সুপ্রতিম য🥂ে বৈঠক করেন, তাতে রাজ্যের এডিজি আইনশৃঙ্খলা জাভেদ শামিমও উপস্থিত ছিলেন। লাঠিচার্জের ঘটনা নিয়ে প্রশ্নের মুখে আন্দোলনকারীদের প্রতি অত্যন্ত সংবেদনশীলতা ও সহমর্মিতার সঙ্গে নিজের জবাব দেন তিনি। মনে করিয়ে দেন, তাঁরা - অর্থাৎ -🌺 পুলিশকর্মীরাও চাকরি করেন। তাই, চাকরির মূল্য তাঁরা বোঝেন। পুলিশকর্তার কথায়, 'চাকরির মূল্য আমরা বুঝি, আমরাও তো চাকরি করি!'
জাভেদ শামিমের স্পষ্ট বার্তা, চাকরি যাওয়ার বিষয় নিয়ে তাঁরা কোনও মন্তব্য করবেন না। কিন্তু, চাকরিহারা যে কষ্টে রয়েছেন🐈, সেটা বুঝতে তাঁদের অন্তত ♒কোনও অসুবিধা হয় না। তিনি বলেন, 'পুলিশ চাকরিহারাদের প্রতি সহানুভূতিশীল। সেই কারণেই আন্দোলনে কখনওই কোনও বাধা দেওয়া হয়নি। চাকরি যাওয়া নিয়ে আমাদের কোনও মন্তব্য নেই। চাকরি যাওয়ার বেদনা আমরা বুঝি। ওঁরা কষ্টে আছেন। সেটা বুঝি।'
একইসঙ্গে আইন মেনে আন্দোলন করার পক্ষেও সওয়াল করেছেন জাভেদ শামিম। মনে করিয়ে দিয়েছে, বিকাশ ভবনে যে সরকারি কর্মীরা আটকে ছিলেন, তাঁদের๊ উদ্ধার করাও পুলিশের দায়িত্ব ছিল। কিন্তু, পুলিশ যখন সেই দায়িত্ব পালন করতে যায়, তখন আন্দোলনকারীরা সেই কাজে বাধা স🔥ৃষ্টি করেন।
জাভেদ বলেন, 'প্রথম বেআইনি কাজ আন্দোলনকারীদের তরফ থেকেই শুরু হয়েছিল। আমাদের কোনও লক্ষ্য ছিল না টিয়ার গ্যাস চালানোর। আমাদের লক্ষ্য ছিল সংযত থেকে আন্দোলনকারীদের বুঝিয়ে আটকে থাকা সরকারি কর্মচারীদের বের করে আনা। আমাদের কাছে ফোন আসছি🌠ল। সন্তানসম্ভবা মহিলা ছিলেন তাঁদের মধ্যে, প্যনিক অ্যাটাক হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে তাদের বের করে আনাই লক্ষ্য ছিল। পুলিশ প্রোঅ্যাকটিভ হয়েছে রাত আটটার পর। অফিস ছুটির দু'ঘণ্টা পর। আমাদের আন্দোলন ভেস্তে দেওয়ার কোনও লক⛄্ষ্য নেই। আজও (আন্দোলন) করছেন। আইন মেনে করুন।'
শিক্ষক সমাজের প্রতি পূর্ণ সম্মান প্রদর্শন করেও তাঁদের সংযত আচরণের বার্তা দেন এই পুলিশকর্তা। তিনি বলেন, 'শিক্ষকরা সমাজ গড়েন। তাঁরা সমাজের স্তম্ভ। তাই আমরা শুরু থেকে সম্মান দেখিয়েছি। তবে যা ঘটেছে, তা শিক্♈ষকদের থেকে কাম্য নয়।🃏'