বড় ক൲ৌশল নিল শাসকদল তৃণমূল। জেলা সভাপতির পদ থেকে কাউকে বাদ দেওয়া হয়েছে এমনটা নয়। তারপর নতুন কাউকে জেলা সভাপতির পদে বসানো হল। তারপর দলের অন্দরে শুরু হয়ে গেল ঝামেলা। এটা দেখতেই অভ্যস্ত বাংলা। তবে এবারে একেবারে কৌশল বদলে ফেলল শাসকদল তৃণমূল।
এবার বীরভূমে তৃণমূলের জেলা সভাপতির পদটাই তুলে দিল শাসকদল। একেবারে অবাক করা ব্যাপার। অর্থাৎ এতদিন ধরে বীরভূমে তৃণমূলের জেলা সভাপতির পদে অনুব্রত মণ্ডল ছাড়া দ্বিতীয় কোনও নাম ভাবতেই পারত না তৃণমূল। এমনকী তিনি যখন তিহাড় জেলে ছিলেন তখনও বীরভূমে দলে জেলা সভাপতি ছিলেন কেষ্ট মণ্ডলই। আর এবার একেবারে নিনজা টেকনিক। পদটাই ভ্য়ানিস হয়ে গেꩲল। কাজেই পদই যেখানে নেই সেখানে সেই পদে কারোর থাকারও ব্যাপার নেই।
শুক্রবার দলের জেলা সভাপতি ও চেয়ারপার্সনদের একটা তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে কার্যত বলেই দেওয়া হয়েছে, এই কোর কমিটিই দল পরিচালনা করবে। আর সেই কোর কমিটিতে রয়েছে অনুব্রত মণ্ডল। আলাদা করে আর জেলা সভাপতি নন তিনি।
প্রসঙ্গত দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নির্দেশে তৈরি হয়েছে এই কোর কমিটি। এ🅘ই কোর কমিটিই এবার বীরভূমে দলকে পরিচালনা করবে।
কিন্তু কেন এমন সিদ্ধান্ত?
রাজনﷺৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, দলের কোর কমিটিকে কার্যত এড়িয়ে গিয়ে নিজের মতো করে দল চালাচ্ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। এনিয়ে নানা কানাঘুষো চলছিল। এসব কথা ওপরমহলেও গিয়েছিল। এরপরই দলের তরফে বড় সিদ꧂্ধান্ত।
এবার তৃণমূলের জেলা সভাপতি পদটাই তুলে দিল তৃণমূল। এদিকে দলের অন্দরে আরও ডানা ছাঁটা হল কেꦇষ্ট মণ্ডলের। আর পাঁচজন যেমন দলে থাকেন তেমন ভাবেই থাকতে হবে অনুব্রত মণ্ডলকে।
অর্থাৎ কেষ্ট মণ্ডল আর জেলা সভাপতি নন। তিনি কোর কমিটির সদস্য।🙈 তবে চেয়ারম্যান হিসাবে থাকছেন রামপুরহাটের আশিস বন্দ💖্যোপাধ্য়ায়।
কার্যত একটা সময় বীরভূমে একটা চর্চা ছিল অনুব্রত মণ্ডলই সব। তিনিই বলতে পারেন গুড় বাতাসা। তিনিই বলতে পারেন চড়াম চড়াম। তাঁর♚ দাপটে গুটিয়ে থাকতেন বিরোধীরা। কিন্তু ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে দেখা গেল অনুব্রত যখন তিহাড়ে তখনও দল ভালো ফল করেছিল বীরভূমে। তবে এবার অনুব্রতর ধরে রাখা পদটাই তুলে দিল তৃণমূল। অর্থাৎ জেলা সভাপতির পদে আর নেই অনুব্রত মণ্ডল। অনুব্রত নিজে এটা মানবেন তো?