বেইমানির কথা বললেই আগে আসে মীরজাফর, উমিচাঁদ, জগৎ শেঠদের। আর এই নামগুলির পাশেই এবার শুভেন্দু অধিকারীর নাম বসালেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। বিজেপি–তে যোগদান করার পর মঙ্গলবার প্রথম গেরুয়া শিবিরের কোনও জনসভায় অংশ নিলেন শুভেন্দু। এদিন পূর্বস্থলীর সভামঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও শাসকদলের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দাগেন শুভেন্দু। আর তার প্রতিক্রিয়ায় এদিন সৌগত বলেন, ‘মীরজাফর, উমিচাঁদ, জগৎ শেঠদের মতো ভবিষ্যতে মানুষ শুভেন্দু অধিকারীর নামও স্মরণ করবে।’যদিও এদিনই পূর্বস্থলীতে শুভেন্দু পুরনো দলের নেতাদের আক্রমণ করে বলেন, ‘গত তিন দিন ধরে আমাকে বিভিন্ন জায়গায় বিশ্বাসঘাতক, মিরজাফর বলছেন। বন্ধু তাদেরকে আমি প্রশ্ন করতে চাই, ১৯৯৮ সালে তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিষ্ঠা হওয়ার পরে ৯৮–এর লোকসভা ভোট, ৯৯–এর বিধানসভা ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে কারা ছিল?’ দলকে এ হেন আক্রমণের জবাবে এদিন সৌগত রায় সাফ বলেন, ‘শুভেন্দুর আসলে কোনও নীতি নেই। ও ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাস করে না। ও আসলে হিন্দুত্ববাদী। তাই ওকে আর কী বলব!’নন্দীগ্রামে শবদেহের ওপর দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মমতা— এমনভাবেই এদিন তৃণমূল সুপ্রিমোর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন শুভেন্দু। মমতাকে কটাক্ষ করে বিজেপি নেতা শুভেন্দু বলেছেন, ‘আজ যে কংগ্রেস ভেঙে তৃণমূল করেছেন সেই কংগ্রেসের হাত ধরতে হয়েছিল ২০১১ সালে।’ এর জবাবে শুভেন্দুকে সরাসরি আক্রমণ করেছেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা সৌগত রায়।তাঁর কথায়, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হিম্মত ছিল তাই তিনি নতুন দল করেছেন। শুভেন্দু অধিকারীর সাহস হল না কেন? বিজেপি–তে গিয়ে জমা হলেন কেন? নিজে একটা আলাদা দল করলে আমরা বুঝতে পারতাম উনি সাহসী। কংগ্রেস ভেঙে তৃণমূল তৈরি হয়েছে ঠিক। কিন্তু তৃণমূল কখনও নিজের স্বাধীন সত্ত্বা বিসর্জন দেয়নি। শুভেন্দু ব্যক্তি হিসেবেই নিজের স্বাধীন সত্ত্বা বিসর্জন দিয়েছে।’