ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার দুপুরে। যশবিন্দর শেক্সপিয়র সরণি থানা এলাকার ওই হোটেলে উঠেছিলেন। সেখানে কয়েকজন ব্যক্তি এসে নিজেদের তেলঙ্গানার গোলকান্ডা থানার পুলিশ আধিকারিক পরিচয় দিয়ে ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে যায়।
Ad
লালবাজারকে না জানিয়েই ব্যক্তিকে তুলে নিয়ে গেল তেলঙ্গানা পুলিশ, অপহরণের অভিযোগ
কলকাতার একটি হোটেল থেকে এক ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে গেল ভিন রাজ্যের পুলিশ। অথচ কলকাতা পুলিশকে কোনও তথ্যই জানানো হয়নি। শুধু তাই নয়, ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পরেও ব্যবসায়ীকে তোলা হয়নি আদালতে। এমনই অভিযোগ উঠেছে তেলঙ্গানা পুলিশের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, শেক্সপিয়র সরণি থানা এলাকার একটি হোটেল থেকে যশবিন্দর সিং নামে ওই ব্যবসায়ীকে পাকড়াও করে নিয়ে যায় তেলঙ্গানা পুলিশ। প্রথম দিকে লালবাজার এবিষয়ে অন্ধকারে থাকলেও পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তেলঙ্গানা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্যবসায়ীকে গ্রেফতারের বিষয়টি জানতে পারে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার দুপুরে। যশবিন্দর শেক্সপিয়র সরণি থানা এলাকার ওই হোটেলে উঠেছিলেন। সেখানে কয়েকজন ব্যক্তি এসে নিজেদের তেলঙ্গানার গোলকান্ডা থানার পুলিশ আধিকারিক পরিচয় দিয়ে ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে যায়। এদিকে, ব্যবসায়ীর পরিবাররের লোকজন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। কিন্তু, ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করতে না পেরে অবশেষে শেক্সপিয়র সরণি থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে শেক্সপিয়র সরণি থানার তরফে তেলঙ্গানার গোলকোন্ডা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে যশবিন্দরকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিত হয় কলকাতা পুলিশ। যদিও পরে গোলকোন্ডা থানার পুলিশ কলকাতা পুলিশকে আর কোনও তথ্য জানায়নি।
লালবাজারের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, এবিষয়ে তেলঙ্গানা পুলিশ তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। নিয়ম অনুযায়ী, অন্য রাজ্য থেকে পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে আসলে বেশ কিছু আইনি প্রক্রিয়া মেনে চলতে হয়। তেলঙ্গানা পুলিশ সেই তথ্য মানেনি। স্থানীয় থানাকে না জানিয়েই কেন ওই ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হল? তা জানতে চেয়ে কলকাতা পুলিশ ইমেল করেছে। এছাড়াও, ব্যবসায়ীকে গ্রেফতারের জন্য কতজন পুলিশ এসেছিলেন? হোটেল থেকে নিয়ে যাওয়ার জন্য কোন গাড়ি ব্যবহার করা হয়েছে? সেই সমস্ত তথ্য জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।