পুরসভার জল সরবরাহ বিভাগের একজন আধিকারিক বলেছেন, বেহালা এবং মেটিয়াবুরুজের আশেপাশে জল সংকট মেটাতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। বেহালার কিছু অংশ যেমন, শকুন্তলা পার্ক, সরশুনা, বীরেন রায় রোড (পশ্চিম), পর্ণশ্রী এবং ডিএইচ রোডের কিছু অংশের বাসিন্দারা এরফলে উপকৃত হবেন।
পানীয় জলের সমস্যা মিটতে চলেছে বেহালা এবং মেটিয়াবুরুজে। প্রতীকী ছবি: হিন্দুস্তান টাইমস
বেহালা এবং মেটিয়াবুরুজে পানীয় জলের সমস্যা দীর্ঘদিনের। এই সমস্যা মেটাতে তৎপর হয়েছে কলকাতা পুরসভা। বাসিন্দারা যাতে পরিশ্রুত পানীয় জল পান তার জন্য এই এলাকায় দুটি বুস্টার পাম্পিং স্টেশন চালু হচ্ছে। এই স্টেশনগুলি চলতি সপ্তাহে উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। উভয় স্টেশন দুটি আধা ভূগর্ভস্থ জলাশয় সহ নির্মিত হয়েছে। প্রতিটির জল ধারণ ক্ষমতা ৩ মিলিয়ন গ্যালন। মেটিয়াবুরুজের বুস্টার পাম্পিং স্টেশনটি তিনটি ওয়ার্ডের ৫০ হাজারের বেশি বাসিন্দার পানীয় জলের চাহিদা মেটাবে এবং বেহালার শকুন্তলা পার্কের পাম্পিং স্টেশনটি অন্য তিনটি ওয়ার্ডের ৬০ হাজারের বেশি বাসিন্দা উপকৃত হবেন৷
১৪ নম্বর বোরোর চেয়ারপারসন সংহিতা দাস বলেন, সরশুনা, শকুন্তলা পার্ক এবং বীরেন রায় রোডের বাসিন্দারা গ্রীষ্মকলে তীব্র জল সংকটের মুখে পড়েন। শুক্রবার শকুন্তলা পার্কে নতুন বুস্টার পাম্পিং স্টেশনটির উদ্বোধন করা হবে। এরফলে গ্রীষ্মকালে জলের অতিরিক্ত চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে। এছাড়া, জলের অপচয় রোধ করার জন্য মানুষদের সচেতন করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। মেটিয়াবুরুজ এলাকায় ১৫ নম্বর বোরোর চেয়ারপারসন রঞ্জিত শীল বলেন, ‘মেটিয়াবুরুজে বুস্টার পাম্পিং স্টেশন চালু হলে নাগরিকদের ভূগর্ভস্থ জলের উপর নির্ভরতা কমবে। আমি খুবই খুশি যে পুরসভা মেটিয়াবুরুজে বুস্টার পাম্পিং স্টেশনের নির্মাণ সম্পূর্ণ করতে সক্ষম হয়েছে। কারণ করোনার কারণে কাজের গতি শ্লথ হয়ে গিয়েছিল। এখন আমরা মানুষের পানীয় জলের চাহিদা মেটাতে পারব। মেটিয়াবুরুজের মানুষ এর ফলে খুবই উপকৃত হবেন।