আইপিএল ২০২৫-এর শুরুতে বলা কওয়া শুরু হয়েছিল যে এবছর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগে ৩০০ রানের গণ্ডি টপকাতে পারে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। উপ্পলে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে হোম ম্যাচে ২৮৬ পর্যন্ত পৌঁছে যায় সানরাইজার্স। অর্থাৎ, অল্পের জন্য ৩০০ রানের গণ্ডি ছোঁয়া হয়নি তাদের। এবার দিল্লিতে কেকেআরের বিরুদ্ধে শেষ লিগ ম্যাচে ফের ৩০০-র সম্ভাবনা জাগায় হায়দরাবাদ। যদিও এবারও কাছে গিয়েও থেমে যেতে হয় প্যাট কামিন্সের দলকে।
রবিবার কোটলায় কেকেআরের বিরুদ্ধে আইপিএল ২০২৫-এ নিজেদের শেষ লিগ ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করে রানের পাহাড়ে চড়ে হায়দরাবাদ। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ২৭৮ রান সংগ্রহ করে। সৌজন্যে এনরিখ ক্লাসেনের মারকাটারি শতরান ও ট্র্যাভিস হেডের বিধ্বংসী অর্ধশতরান।
সানরাইজার্স আইপিএলের সার্বিক ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ দলগত ইনিংস গড়ে তোলে। তারা এক্ষেত্রে টপকে যায় নিজেদেরই পুরনো নজির। আইপিএলে সব থেকে বেশি রানের দলগত ইনিংসের রেকর্ড হায়দরাবাদের দখলেই রয়েছে। এই নিরিখে তালিকার দ্বিতীয় স্থানও নিজেদের দখলে রেখেছে সানরাইজার্স।
আইপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দলগত ইনিংস
১. সানরাইজার্স হায়দরাবাদ- ৩ উইকেটে ২৮৭ বনাম আরসিবি (বেঙ্গালুরু, ২০২৪)।
২. সানরাইজার্স হায়দরাবাদ- ৬ উইকেটে ২৮৬ বনাম রাজস্থান রয়্যালস (হায়দরাবাদ, ২০২৫)।
৩. সানরাইজার্স হায়দরাবাদ- ৩ উইকেটে ২৭৮ বনাম কেকেআর (দিল্লি, ২০২৫)।
৪. সানরাইজার্স হায়দরাবাদ- ৩ উইকেটে ২৭৭ বনাম মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (হায়দরাবাদ, ২০২৪)।
৫. কেকেআর- ৭ উইকেটে ২৭২ বনাম দিল্লি ক্যাপিটালস (বিশাখাপত্তনম, ২০২৪)।
আরও পড়ুন:- IPL-এর এক মরশুমে CSK-র হয়ে সব থেকে বেশি উইকেট, সেরা ৫-এ নূর আহমেদ
আইপিএল ২০২৫-এ এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দলগত ইনিংস। এক্ষেত্রেও সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড রয়েছে হায়দরাবাদের দখলেই।
এনরিখ ক্লাসেন কেকেআরের বিরুদ্ধে এই ম্যাচে মাত্র ৩৭ বলে ব্যক্তিগত শতরান পূর্ণ করেন। এটি আইপিএলের ইতিহাসে যুগ্মভাবে তৃতীয় দ্রুততম ব্যক্তিগত শতরান। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে আইপিএলের ইতিহাসে দ্রুততম শতরান করেন ক্লাসেন।
‘বলছি না ফিরে আসব…’ IPL থেকে অবসর নেওয়া নিয়ে বিরাট ইঙ্গিত ধোনির, উৎকণ্ঠায় অনুরাগীরা
আইপিএলে সব থেকে কম বলে শতরান
১. ক্রিস গেইল (আরসিবি)- ৩০ বলে বনাম পুণে ওয়ারিয়র্স (বেঙ্গালুরু, ২০১৩)।
২. বৈভব সূর্যবংশী (রাজস্থান রয়্যালস)- ৩৫ বলে বনাম গুজরাট টাইটানস (জয়পুর, ২০২৫)।
৩. ইউসুফ পাঠান (রাজস্থান রয়্যালস)- ৩৭ বলে বনাম মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (মুম্বই, ২০১০)।
৪. এনরিখ ক্লাসেন (সানরাইজার্স হায়দরাবাদ)- ৩৭ বলে বনাম কেকেআর (দিল্লি, ২০২৫)।
৫. ডেভিড মিলার (কিংস ইলেভেন পঞ্জাব)- ৩৮ বলে বনাম আরসিবি (মোহালি, ২০১৩)।
৬. ট্র্যাভিস হেড (সানরাইজার্স হায়দরাবাদ)- ৩৯ বলে বনাম আরসিবি (বেঙ্গালুরু, ২০২৪)।
৭. প্রিয়াংশ আর্য (পঞ্জাব কিংস)- ৩৯ বলে বনাম সিএসকে (মুল্লানপুর, ২০২৫)।
আরও পড়ুন:- মুম্বই-পঞ্জাবের একদল টপকাবে GT-কে, প্রথম কোয়ালিফায়াদের দৌড়ে গিলদের ভাগ্য এখন RCB-র হাতে
ক্লাসেন শেষমেশ ৩৯ বলে ১০৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। তিনি ৭টি চার ও ৯টি ছক্কা মারেন। ৪০ বলে ৭৬ রান করেন ট্র্যাভিস হেড। তিনি ৬টি চার ও ৬টি ছক্কা মারেন।