১১ বছর পর আইপিএলের ফাইনালে উঠেছে শ্রেয়স আইয়ারের পঞ্জাব। শ্রেয়স অবশ্য ২০২০ সাল থেকে ২০২৫ সালের ভিতর তিনটি আলাদা দলকে নেতৃত্ব দিয়ে ফাইনালে তুলেছেন, একবার চ্যাম্পিয়নও করেছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সকে। রবিবার গুজরাটের আমদাবাদ স্টেডিয়ামেও ওয়ান ম্যান শো দেখিয়েছেন শ্রেয়স আইয়ার। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে তিনি মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের দর্পচূর্ণ করে দলকে জিতিয়ে ফাইনালে তুলেছেন। যখন কোয়ালিফায়ার ওয়ানে শ্রেয়সরা হেরে গেছিল আরসিবির বিরুদ্ধে তখন পঞ্জাব অধিনায়ককে বলতে শোনা গেছিল, তাঁরা লড়াইটা স্রেফ হেরেছেন, যুদ্ধ তখনও হারেননি। কথাটা কতটটা সত্যি ছিল সেটাই প্রমাণ করে দিলেন শ্রেয়স MI-র বিরুদ্ধে অসাধারণ ব্যাটিংয়ের সৌজন্যে।
২০১৪ সালে শেষবার পঞ্জাব প্লে অফে উঠেছিল। সেবার ফাইনালে ঋদ্ধিমান সাহা দুরন্ত শতরান করলেও তা কাজে লাগেনি কারণ কেকেআর চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এবার অবশ্য পঞ্জাবকে ফাইনালে তুলতে সেঞ্চুরির কাছাকাছি রানই করলেন শ্রেয়স, তবে এই ইনিংসের গুরুত্ব ঠিক কতটা, সেটা রবিবার যারা খেলা দেখেছে তাঁরাই বোঝেন। কারণ একটা সময় ম্যাচ পুরোপুরি মুম্বইয়ের দিকে চলে যাচ্ছিল, সেখান থেকেই শ্রেয়স মাথা ঠান্ডা করে প্রত্যেক ওভারে একটা করে বাউন্ডারি তুলে ম্যাচ জয়ের দিকে নিয়ে যান। যখন শশাঙ্ক আউটও হয়ে গেলেন, তখনও নিজে চাপে না পড়ে, অশ্বিনী কুমারের ওভারটাকেই টার্গেট করেন। বুমরাহ-র ইয়র্কার যেভাবে তিনি থার্ড ম্যানের দিকে চার মেরেছিলেন, তা দেখেই ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা বুঝে গেছিল, আর মুম্বইয়ের পক্ষে ম্যাচ জেতা কঠিন। শেষ পর্যন্ত তিনি ৪১ বলে ৮৭ রানের ইনিংস খেলে পঞ্জাবকে ফাইনালে তোলেন। স্বভাবতই তাঁর এই পারফরমেন্সে খুশি ছিলেন দলের কর্ধধার নেস ওয়াদিয়া, প্রীতি জিন্টারা।
তাই ম্যাচ শেষে ড্রেসিংরুমে ফিরেই কেক কেটে সেলিব্রেশন করে পঞ্জাব কিংস টিম। আর সেখানেই নেস ওয়াদিয়া ক্যাপ্টেনকে সামনে রেখে কেক কাটেন। এরপর পঞ্জাব কিংসের কর্ণধার শ্রেয়সকে কেক খাইয়ে দিয়ে তাঁকে স্নেহের চুম্বন দেন। শ্রেয়স অবশ্য এই চুম্বনে একটু বিরক্তই হন। পরের মূহূর্তেই দেখা যায় শ্রেয়স টেবিল থেকে একটি টিস্যু বা কাপড় নিয়ে গাল মুছে নেন (নেস ওয়াদিয়া চুম্বন করেছিলেন গালে)। ম্যাচ শেষে শ্রেয়স আইয়ার জানিয়ে দিয়েছেন, এখনও তাঁদের কাজ অর্ধ সমাপ্ত। মঙ্গলবার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ম্যাচে তাঁদেরকে হারিয়ে কাপ জয়ের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে তাঁর দল পঞ্জাব কিংস।