এবার পঞ্চায়েত নির্বাচন হচ্ছে ভরা বর্ষায়। প্রত্যন্ত এলাকায় ভোট করাতে যাবেন ভোটকর্মীরা। ফলে বর্ষায় গ্রামেগঞ্জে সাপের উপদ্রব বেশি হওয়ার আশঙ্কা করছেন ভোটকর্মীরা। এই অবস্থায় ভোটকর্মীরা তাঁদের জরুরি জিনিসের তালিকায় কার্বলিক অ্যাসিড রাখার দাবি জানিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, ভোট করাতে গেলে সাপে কাটার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। সাপের উপদ্রব কমাতে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে চেয়েও অনেক সময় কার্বলিক অ্যাসিড পাওয়া যায় না। তাই নির্বাচন কমিশনের তরফে কার্বলিক অ্যাসিডের ব্যবস্থা করতে হবে। উল্লেখ্য, এবার ভোটে বুথের ভিতরে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে না।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী নিরাপত্তা নিয়ে বৈঠকে নবান্ন–রাজ্য নির্বাচন কমিশন, চিঠি জেলাশাসকদের
ভোটকর্মীদের মতে, বর্ষায় প্রয়োজনীয় সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ছাতা। তা হয়তো সকলকে দেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু, কার্বলিক অ্যাসিড বর্ষায় খুবই প্রয়োজন। কারণ প্রত্যন্ত এলাকায় ভোটকর্মীদের স্কুল বাড়িতে গিয়ে রাত কাটাতে হয়। কোনও কোনও এলাকার পরিকাঠামো ভালো নয়। বর্ষায় আবার সাপের উপদ্রব বেশি থাকে। তাই নিরাপদে থাকার জন্য কার্বলিক অ্যাসিড খুবই প্রয়োজনীয়।
সাধারণত এই গরমে ভোট কর্মীদের জন্য নির্বাচন কমিশনের তরফে বরাদ্দ রয়েছে ওআরএস, কিছু জরুরি ওষুধপত্র এবং পানীয় জল। ভোটকর্মীদের বক্তব্য, সাম্প্রতিক অতিতে জুলাই মাসে অর্থাৎ ভরা বর্ষায় ভোট হয়নি। এর আগে রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট হয়েছিল মে মাসে। এছাড়া, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোট এবং ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনও হয়েছিল মে মাসে।
ফলে বর্ষার মরশুমে যেহেতু ভোট হচ্ছে, তাই এই সময় যা যা সামগ্রী প্রয়োজন, তা সবই নির্বাচন কমিশনকে ব্যবস্থা করতে হবে বলে দাবি জানিয়েছেন ভোট কর্মীদের একাংশ। এ বিষয়ে শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেন, বর্ষার মরশুমে কার্বলিক অ্যাসিডের মতো আরও জিনিস প্রয়োজন। সেগুলি নির্বাচন কমিশনের তরফেই ব্যবস্থা করতে হবে। ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার জন্য ঢাকা গাড়ির ব্যবস্থা করতে হবে। অনেককেই দু'দিন আগে ভোট কেন্দ্রে পৌঁছাতে হবে। স্কুল বাড়িতে তাদের রাত কাটাতে হবে। তাই নিরাপদে রাত্রিযাপনের জন্য কার্বলিক অ্যাসিডের ব্যবস্থা অবশ্যই করতে হবে।
মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির তরফেও জরুরি সামগ্রিক তালিকায় কার্বলিক অ্যাসিড রাখার দাবি জানানো হয়েছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে অনিমেষ হালদার জানিয়েছেন, তাঁর ভোটের ডিউটি পড়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমা ব্লকে। তিনি জানান, সেখানে দুদিন আগে তাঁকে পৌঁছাতে হবে অর্থাৎ দুই রাত্রি থাকতে হবে। অনেক স্কুলের দরজা-জানলা ভাঙা থাকে। তাছাড়া স্কুলের চারপাশে ঝোপঝাড় থাকে। এই বর্ষায় যে স্কুলে সাপ ঢুকবে না তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। তাই রাতে স্কুল ভবনের চারপাশে ভালো করে কার্বলিক অ্যাসিড দেওয়াটা খুবই জরুরি। শুধু তাই নয়, অনেক জায়গাতে লোডশেডিংয়ের কারণে বিদ্যুৎ থাকে না। ফলে মোমবাতি জ্বালিয়ে থাকতে হয়। সে বিষয়টিও চিন্তার কারণ বলে তিনি জানিয়েছেন।