সিম্বল লোডিং ইউনিটে থাকে প্রার্থীর নাম ও নির্বাচনী প্রতীক। সেই তথ্য ভিভিপ্যাটে প্রবেশ করানো হয়। তারপর সেই ভিভিপ্যাট বুথে পাঠানো হয়।
ভিভিপ্যাটের ‘সিম্বল লোডিং ইউনিট’ সংরক্ষণের কথা বলছে নির্বাচন কমিশনের নয়া নিয়ম। (প্রতীকী ছবি)
লোকসভা ভোট ২০২৪ চলার মাঝেই ভিভিপ্যাট নজরদারি নিয়ে বড় পদক্ষেপ নিল নির্বাচন কমিশন। দেশের ভোট প্রক্রিয়ার নিয়মে এবার এল নয়া বিধি। কমিশন জানিয়েছে ভিভিপ্যাটের 'সিম্বল লোডিং ইউনিট'কে এবার সংরক্ষণ করতে হবে। কীভাবে সংরক্ষণ করতে হবে, তাও জানিয়েছে কমিশন। বুধবারই এসেছে এই নয়া নিয়ম।
কিছুদিন আগে, ‘অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস’ নামের এক সংগঠনের তরফে সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা দায়ের করা হয়। সেখানে ইভিএমের সঙ্গে সব ভিভিপ্যাটের গণনা মিলিয়ে দেখার দাবি তোলা হয়। তবে তা নিয়ে দেশের শীর্ষ আদালত স্পষ্ট বার্তা দিয়েছিল। সাফ কথায় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল যে ভিভিপ্যাট নিয়ে সংশয় দূর করতে সিম্বল লোডিং ইউনিটকে সংরক্ষণ করতে হবে। এরপরই নির্বাচন কমিশন বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। সিম্বল লোডিং ইউনিটকে সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়ে কমিশন বলেছে, সেটিকে গোলাপি পেপারে সিল করে ট্রাঙ্কে রাখতে হবে। সিলে স্বাক্ষর করবেন সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের সব প্রার্থী। ইউনিটকে সুরক্ষিত রাখার দায়িত্ব থাকবে রিটার্নিং অফিসার ও জেলার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের। এই বিষয়টি নিয়ে সব রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বলা হয়েছে, গণনার পর ৪৫ দিন ধরে ওই ইউনিটকে সংরক্ষণ করতে হবে।
উল্লেখ্য, ২৬ এপ্রিল এই মামলায় যে রায় আদালত দিয়েছে, সেখানে বলা হয়েছে, ভিভিপ্যাটের সংশয় দূর করতে সিম্বল লোডিং ইউনিট সংরক্ষণ দরকার। গণনায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রার্থী তা যাচাই করার আবেদন করতে পারেন। এদিকে, রাজ্যের নির্বাচনী আধিকারীকের দফতরের এক অফিসার জানাচ্ছেন, সিম্বল লোডিং ইউনিটে থাকে প্রার্থীর নাম ও নির্বাচনী প্রতীক। সেই তথ্য ভিভিপ্যাটে প্রবেশ করানো হয়। তারপর সেই ভিভিপ্যাট বুথে পাঠানো হয়। ফলে সিম্বল লোডিং ইউনিট আর ভিভিপ্যাটের তথ্যে ফারাক হবে না। ফলে যদি ভিভিপ্যাট নিয়ে কারোর সন্দেহ থাকে, তাহলে সিম্বল লোডিং ইউনিট থেকে ফলাফল যাচাই করা যাবে। এই অবস্থায় ভিভিপ্যাটের ওপর থেকে সংশয় কমাতেই এই পদক্ষেপে কমিশন।