বিধানসভা নির্বাচনে ১,০৮,৬৩৮ ভোট পেয়ে জয়ী বিজেপির জগন্নাথ সরকার। অন্যদিকে তৃণমূল প্রার্থী অজয় দে ৯২,৭১৫টি ভোট পেয়েছেন।এই কেন্দ্রে এবারের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হলেন অজয় দে। এই আসনে বিজেপির তরফে দাঁড়াচ্ছেন জগন্নাথ সরকার। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন কংগ্রেসের ঋজু ঘোষাল।শান্তিপুর বিধানসভা কেন্দ্র হল নদিয়া জেলার একটি বিধানসভা কেন্দ্র। ভারতের সীমানা পুনর্নির্ধারণ কমিশনের নির্দেশিকা অনুসারে ৮৬ নম্বর শান্তিপুর বিধানসভা কেন্দ্রটি শান্তিপুর পুরসভা, বাবলা, বাগানছরা, বেলগরিয়া-১, বেলগরিয়া-২, গয়েশপুর ও হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি শান্তিপুর সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের অন্তর্গত। শান্তিপুর বিধানসভা কেন্দ্রটি ১৩ নম্বর রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের (তফসিলি জাতি) অন্তর্গত। আগে এই কেন্দ্রটি নবদ্বীপ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ছিল।২০১৬ সালের নির্বাচনে প্রদেশ যুব কংগ্রেসের সভাপতি অরিন্দম ভট্টাচার্য ছ'বারের বিধায়ক অজয় দে'কে পরাজিত করেছিলেন। অরিন্দম ভট্টাচার্য একজন তরুণ নেতা ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আইন বিশেষজ্ঞ তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বিকে হারিয়ে জয়লাভ করেছিলেন। তিনি ১০৩,৫৬৬ টি ভোট পেয়ে ৫২.২৫ শতাংশ মার্জিনে ঐতিহাসিক জয়লাভ করেছিলেন। ২০১৪ সালের উপনির্বাচনে বিধায়ক অজয় দে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। তার আগে ২০১১ সালের নির্বাচনে তৎকালীন কংগ্রেসের অজয় দে করেছিলেন।২০০৬, ২০০১, ১৯৯৬ ও ১৯৯১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের অজয় দে শান্তিপুর কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন। সিপিআইএমের শান্তনু চক্রবর্তী, নির্দলের বাদল বসাক, আরসিপিআইয়ের বিমলানন্দ মুখোপাধ্যায় ও আরসিপিআইয়ের অসীম ঘোষকে পরাজিত করেছিলেন। পাশাপাশি জনতা পার্টির জ্ঞানেন্দ্রনাথ প্রামাণিককে ওই বছরগুলিতে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৭২ সালে কংগ্রেসের আষ্মাজা দে এই আসনে জয়ী হয়েছিলেন। তার আগে ১৯৭১ সালে বিমলানন্দ মুখোপাধ্যায় জিতেছিলেন। ১৯৬৯ সালে আরসিপিআইয়ের এম. মোকশাদ আলি জয়ী হয়েছিলেন।১৯৬৭ সালে সিপিআইএমের কে পাল জয়ী হয়েছিলেন।১৯৬২ সালে নির্দলের কানাই পাল এই আসনে জয়ী হয়েছিেন।১৯৫৭ সালে কংগ্রেসের হরিদাস দে জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৫১ সালে দেশের প্রথম নির্বাচনে কংগ্রেসের শশিভূষণ খান শান্তিপুর কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন।