আর তবলায় বোল তুলবে না জাকির হুসেন। জলসা আজ শূন্য। এক সময় তাঁর তবলার তালে তালে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতকে তিনি পৌঁছে দিয়েছিলেন বিশ্ব সঙ্গীতের দরবারে। কিন্তু সেই উস্তাদজী আজ প🅠্রয়াত। সঙ্গীত জগতের এই বিরাট নক্ষত্র পতনে শোকাহত এ আর রহমানও। অতীতে একসঙ্গে কাজ করলেও কেন আর উস্তাদের সঙ্গ🌟ে জুটি বাঁধলেন না, সেই আক্ষেপে এখন বিহ্বল রহমান।
সোমবার জাকির হুসেনের প্রয়াণের খবরে মর্মাহত হয়ে এ আর রহমান লেখেন, ‘জাকির ভাই ছিলেন আমাদের অনুপ্রেরণা। তিনি অসামান্য ব্যক্তিত্বের অধিকারী। তবলাকে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় করে তোলার একজন অন্যতম মূল কান্ডারি তিনি। ওঁর এই চলে যাওয়া আমাদের সকলের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। ওঁর সঙ্গে আর কখনও কাজ করতে পারব না। এই আক্ষেপ আমার রয়েই গেল। আমরা একসঙ্গে একটা অ্যালবাম করব বলে♏ ঠিক করেছিলাম। কিন্তু তা আর হল না। কয়েক দ♛শক আগে যদিও আমার ওঁর সঙ্গে কাজের সুযোগ হয়েছিল। সত্যিই আপনাকে খুব মিস করব। ঈশ্বর ওঁর পরিবার এবং ওঁর বিশ্বব্যাপী অগণিত শিষ্যদের এই কঠিন সময়ে মনোবল দিন, এটাই প্রার্থনা করি।’
আরও পড়ুন: 'সেক্সিয়েস্ট ম্যান' হিসেবে অ🐻মিতাভ বচ্চনকে পিছনে ফেলে দিয়েছিলেন জাকির হুসেন! জানেন কি সেই কাহিনী?
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ফ্রেব্রুয়ারি মাসে জাকির হুসেন যখন💫 গ্র্যামি পু🐲রস্কার পেয়েছিলেন তখন রহমান তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে লিখেছিলেন, ‘ভারতে গ্র্যামি বৃষ্টি হচ্ছে… অভিনন্দন জাকির ভাই।’
প্রসঙ্গত, ফুসফুসের রোগ ইডিওপ🍃্যাথিক পালমোনারি ফাইব্রোসিসে আক্রান্ত হয়ে সোমবার ভোরে সান ফ💦্রান্সিসকোর একটি হাসপাতালে মারা যান জাকির হোসেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। তাঁর পরিবারে রয়েছে স্ত্রী অ্যান্টোনিয়া মিনেকোলা এবং দুই কন্যা আনিসা কুরেশি এবং ইসাবেলা কুরেশি। জাকির হুসেনের বাবা আল্লা রাখা ছিলেন প্রখ্যাত তবলা বাদক।
তিনিও বাবাকেই অনুসরণ করেন। সাত বছর বয়সে তিনি প্রথম কনসার্ট করেছিলেন। মুম্বইয়ে পড়াশোনা করেন তিনি। পড়াশোনা শেষ করে, উস্তাদজী ১৯৭০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। ওই বছরের ফেব্রুয়ারিতে তিনি প্রথম ভারতীয় সংগীতশিল্পী হিসেবে ৬৬তম বার্ষিক গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডে সেরা গ্লোবাল মিউজিক অ্যাౠলবাম, সেরা গ্লোবাল মিউজিক পারফরম্যান্স এবং সেরা কনটেম্পোরারি ইনস্ট্রুমেন্টাল অ্যালবামের জন্য তিনটি গ্র্যামি জিতেছিলেন।
গ্র্যামি ছাড়াও তাঁর ঝুলিতে রয়েছে পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণ, পদ্মবি💎ভূষণ, সংগীত নাটক আকাদেমি পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হেরিটেজ ফেলোশিপ এবং ফ্রান্সের অর্ডার অব আর্টস অ্যান্ড লেটারসের অফিসিয়ার -সহ অসংখ্য পুরস্কার। তাছাড়াও বহু সম্মানে ভূষিত হয়েছেন তিনি।