সিনেমা থেকে সিরিয়াল, ক্যামেরার সামনে চুটিয়ে কাজ করেছেন ছন্দা চট্টোপাধ্যায়। শেষ তাঁকে দেখা যায়, অষ্টমী ধারাবাহিকে। সম্প্রতি তাঁর একটি সাক্ষাৎকার ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। যেখানে তাঁকে বলতে শোনা যাচ্ছে, প্রবল অর্থকষ্ঠের কারণে সোনার মেডেল বিক্রি করতে হয়েছে।
টলি টাইমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ছন্দা জানালেন, ‘হরেন মুখার্জী আমায় গোল্ড মেডেল দিয়েছিলেন। তবে সেসব আর নেই। কারণ পরিস্থিতির কারণে সে সব বেচে খেয়ে নিতে হয়েছে। কী করব। এই তো আমাদের জীবন। পরিস্থিতি খুব খারাপ ছিল। তবে ওই যে সবসময় বদ্ধ পরিকর ছিলাম, কারও থেকে সাহায্য চাইব না।’
আরও পড়ুন: ‘এ জয় যেমন আমার, তেমনই তোমারও…’! বিশ্বকাপ জিতেই অনুষ্কার ভালোবাসায় ডুব বিরাটের
তবে এই অর্থকষ্ট দেখে এসেছেন ছোট থেকেই। খুব অল্প বয়সেই পা রেখেছিলেন টলিউডে। মাত্র ৮ বছর বয়সে বাড়ি থেকে টালিগঞ্জ যাতায়াত করতেন হেঁটে। একবেলা খাবার খেতেন। তবুও অভিনয় ছাড়েননি।
ছন্দা আরও বিস্তারে জানালেন, ‘ছোট থেকেই বাবা মায়ের কাছে চাওয়া বা অন্য কারোর থেকে কিছু চাওয়া পছন্দ করতাম না। কোনওদিন খেতাম, কোনওদিন সেটাও জুটত না। খুবই কষ্টে দিন চলত। মনে আছে টিনের তলোয়ার’ ছবির জন্য পুরস্কার নিতে যাচ্ছি সেদিনও না খেয়েই গিয়েছিলাম। কখনো বিস্কুট খেয়ে নিতাম। কখনো আবার রাতে বাড়ি ফেরার সময় কিনতাম চপ মুড়ি। এমন নয় বাড়ির অবস্থা খুব খারাপ ছিল। কিন্তু ওই যে, আমি কারও কাছে চাইব না।’
আরও পড়ুন: রাই-অনির্বাণের বিয়ের মাঝে এল দুঃসংবাদ! বদলে গেল মুখ্য অভিনেতা, মাথায় হাত দর্শকের
বর্তমানে পেরিয়েছেন আশির কোটা। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় থেকে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, তাপস পাল, মিঠুন চক্রবর্তী নব্বইয়ের দশকের সব তারকাদের সঙ্গেই কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে ছন্দার। এখনও কাজ করে চলেছেন। সেই প্রসঙ্গে ছন্দাকে বলতে শোনা গেল, ‘এনার্জি চাইলেই পাবে। মানসিকভাবে কেউ যদি মনে করে আমি এটা করবই, তাহলে আর কোনও সমস্যা হয় না।’
আরও পড়ুন: ‘হয়তো শারীরিক প্রতিবন্ধকতা…’! ২৭ বছরের বিয়েতে কেন আসেনি সন্তান, জবাব অপরাজিতার
চারুলতা, সাত ভাই চম্পা, কালবেলা, শুভ দৃষ্টি থেকে ১০০% লাভ এর মত বহু ছবিতে কাজ করেছেন ছন্দা চট্টোপাধ্যায়। এছাড়াও ছোট পর্দায় তাঁকে দেখা যায় পটলকুমার গানওয়ালা, তোমায় আমায় মিলে-র মতো ধারাবাহিক।