ইদানীং ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম কিংবা ইউটিউব ঘাঁটলে দেখা যায়,সব বয়সীরাই ‘ভিডিয়ো করা’র মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে চাইছেন, জনপ্রিয়তা অর্জন করতে চাইছেন। আজকাল সকলেই কনটেন্ট ক্রিয়েটার, সবই সমাজ মাধ্যম প্রভাবী। মাঝেমধ্যে এমনসব চটকদার কাণ্ড কারখানা যা দেখলে আপনি শুধু তাজ্জব হবেন না, বরং সমাজের অস্তিত্ব সংকটে তা ভাবতেও বাধ্য হবেন।
যৌন সুড়সুড়ি দেওয়া 'বৌদি'দের ভিডিয়ো যেমন রয়েছে, তেমনই ফেসবুকে গজিয়ে ওঠা এমন কিছু কনটেন্ট ক্রিয়েটার রয়েছেন যাঁদের ভিডিয়ো দেখলে আপনার চোখ কপালে ওঠবে। কিছুদিন আগে মৃত বাবার দেওয়ালে টাঙানো ছবির সঙ্গে সেলফি তুলে ট্রোলের মুখে পড়েছিলেন এই তরুণী, এমন কনটেন্ট ক্রিয়েটারও আছেন যিনি মৃত স্ত্রীর ছবির সঙ্গে স্যাড হিন্দি সং-এর রিল ভিডিয়ো পোস্ট করে ফেমাস!
কোয়েল রায় নামের এক তরুণী বুধবার নিজের ফেসবুক পেজে একটি ‘গেট রেডি উইথ মি’ ভিডিয়ো আপলোড করেন। চব্বিশ ঘন্টা যেতে না যেতেই সেই ভিডিয়ো দেখে ফেলেছেন প্রায় ৬ মিলিয়ান অর্থাৎ ৬০ লক্ষ নেটিজেন। কী রয়েছে সেই ভিডিয়োয়? দিদি মারা গিয়েছে তরুণীর। অন্তত তাঁর তেমনটাই দাবি। এবং মৃত দিদার সঙ্গে শ্মশানে যাওয়ার সময় কেমন সেজেছে সে, সেই মেকআপ টিউটোরিয়ালের ভ্লগ আপলোড করেছে কোয়েল।
শ্মশানে যাওয়ার জন্য শিমারি কালো গাউন গায়ে চড়িয়ে, পার্টি মেকআপ করল কোয়েল। ভয়েস ওভারে দিদার জন্য কষ্টে বুক ফাটার কথা বললেও, রীতিমতো নেচেকুদে মেকআপ করতে দেখা গেল তরুণীকে। বেস মেকআপ থেকে চোখে গ্লিটার, কিছুই বাদ যায়নি। সব শেষে আবার গর্বের সঙ্গে বলল, ‘মেয়েদের কত জ্বালা, একটু না সাজলে হয় না। আমি ন্যাচলার সেজেছি’।
দিদার মরদেহের চিহ্ন তাঁর ভিডিয়োতে না দেখা গেলেও, শ্মশানের ভিতরে সে নিঃসন্দেহে গিয়েছিল তার প্রমাণ রয়েছে ভিডিয়োতে। নেটিজেনরা এই ভিডিয়ো দেখে এতটাই বিরক্ত যে তাঁকে শাপ-শাপান্ত করেছেন অনেকেই। এমনকী মৃত্যু কামনাও করেছেন অনেকে। একজন ক্ষুব্ধ নেটিজেন লেখেন, ‘দিদার জায়গায় তুমি চলে গেলে পৃথিবী থেকে একটা বোঝা কমে যেত’। আরেকজন লেখেন, ‘টাকা কামানোর জন্য যে কেউ এতটা নিচে নামতে পারে সেটা তোমায় না দেখলে জানতাম না বোন’।
কোয়েলের এই ভিডিয়োয় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ, এটি শেয়ার হয়েছে ৭ হাজার ৬০০ বারের বেশি। সুতরাং ভাইরাল কন্যে হওয়ার শখ অবশেষে পূরণ হয়েছে তাঁর।