সেটা ছিল ১৯৮৭ সাল, সেবছরই ৫ বছরের ছোট আদিত্য পাঞ্চোলিকে বিয়ে করেছিলেন অভিনেত্রী জারিনা ওয়াহাব। পরবর্তী সময়ে দুই সন্তান সূরজ ও সানার বাবা-মা হন আদিত্য ও জারিনা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ভিন ধর্মে বিয়ে নিয়ে মুখ খুলেছেন জারিনা। মেয়ের আদিত্যকে বিয়ে করতে চাওয়াতে কী প্๊রতিক্রিয়া ছিল জারিনার মায়ের? সেবিষয়েও কথা বলেছেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী।
জারিনা ওয়াহাব বলেন, আদিত্য পাঞ্চোলিকে প্রথমবার দেখেই তাঁকে বেশ হ্যান্ডসাম মনে হয়েছিল তাঁর। যদিও তখনও তিনি ভাবেননি যে আদিত্যর স্ত্রী হবেন। এদিকে আদিত্য 🐼ছিলেন হিন্দু, আর তিনি মুসলমান। তার উপর আদিত্যর থেকে তিনি ছিলেন ৫ বছরের বড়। জারিনা বলেন যে তিনি একটি শুটিংয়ের পরে আদিত্যর হাত ধরেছিলেন, আর এর ঠিক ১৫ দিন পরেই তাঁরা বিয়ে করে নেন। শুরুতে আদিত্যর হিন্দু হওয়া নিয়ে তাঁর আপত্তি থাকলেও তিনি তাঁকে রাজি করিয়ে ফেলেছিলেন।
ঠিক কী বলেছেন জারিনা ওয়াহাব?
নয়নদীপ রক্ষিতের সঙ্গে কথোপকথনে জারিনা বলেন নারী হিরা জি (স্🅷টারডাস্টের প্রাক্তন মালিক) একটি ছবি বানাচ্ছিলেন। তখনই আমার আর ওর (আদিত্য) দেখা হয়। ও দেখতে খুব সুন্দর ছিল। কিন্তু এর বেশি কিছু ছিল না। তারপর একটা দৃশ্যে আদিত্যকে কাঁদতে হয়েছিল। ও এত কাঁদতে থাকে যে আমাদের সব গুছিয়ে নিতে হয়। এদিকে আমরা যখন গাড়িতে বসে ছিলাম, তখন আমি ওর হাত ধরে বললাম, কেঁদো না। আমি ওর হাত ধরার সঙ্গে সঙ্গেই ও আমার হাত ধরে ফেলল। তারপর ১৫ দিনের মধ্যে আমাদের বিয়ে হয়ে গেল (হাসি)'।
জারিনা আরও বলেন যে, ‘ও আমার থেকে পাঁ🦩চ বছরের ছোট ছিল। যখন আমরা বিয়ে করি, তখন লোকে বলত যে এত সুন্দর একটা ছেলেকে ভালোবেসে ফেলেছো, পাঁচ দিন বা পাঁচ বছরের মধ্যেই ও আমায় ছেড়ে চলে যাবে। এখন আমাদের দাম্পত্যের প্রায় ৩৮ বছর হয়ে গেছে’।
বর্ষীয়ান অভিনেত্রী আরও জানান, 'আমি নারী হীরার ছবি করতে চাইনি,♉ তবে আমার মনে হয়েছিল যে আমি যদি না বলিস তবে স্টারডাস্টের লোকেদের খারাপ লাগবে। তাই ভারাক্রান্ত মন নিয়ে ছবিটি শুরু করি। এরপর ✤১৫ দিনের মধ্যে আমার বিয়ে হয়ে যায়।'
আরও পড়ুꦚন-'জিয়া অবসাদে ডুবে ছিল, সূরজকে সেসময় ফোনও করেছিল, তবে…' মুখ খুললেন জারিনা ওয়াহাব
আদিত্যর বিয়ে আপত্তি ছিল জারিনার মায়ের
জারিনা মুসলমান আর আদিত্য হিন্দু, এই জন্যই কি দুজনের বিয়েতে সমস্যা হয়েছিল? এই প্রশ্নে জারিনা বলেন, ‘এবিষয়ে দুই পরিবার কিছুই বলেনি। আর আমার পরিবার খোলা মনের ছিল। 💯তবে মা বলেন, বেটা, ও হিন্দু। আমি বললাম,মা, হিন্দু-ুসলমান সবই সমান। তুমিই তো বলছো আল্লাহর (ইশ্বরের) ইচ্ছা ছাড়া একটি পাতাও নড়ে না। আল্লাহ (ইশ্বর আমার জীবনের এত বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। এটা আমার নয়, তাঁর সিদ্ধান্ত। জরিনা জানান, এরপর তার মা রাজি হয়ে যান।’