Living with dead body: ১ বছর ধরে মায়ের দেহ আগলে রাখল ২ বোন, রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডের ছায়া বারাণসীতে

কলকাতার রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডের ছায়া বারাণসীতে। এক বছর ধরে মায়ের মৃতদেহ আগলে রাখলেন দুই বোন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতা মায়ের নাম ঊষা তিওয়ারি (৫২) এবং দুই বোনের নাম হল পল্লবী তিওয়ারি (২৭) এবং বৈশ্বিকী তিওয়ারি (১৮)। খবর পেয়ে বুধবার সন্ধ্যায় ওই বাড়ি থেকে মৃতের কঙ্কাল উদ্ধার করেছে লঙ্কা থানার পুলিশ। দুই বোন মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন বলে জানিয়েছে পুলিশ।আরও পড়ুন: ৩ দিন ধরে মৃত মেয়ের দেহ আগলে রাখলেন ৮৫ বছরের বৃদ্ধা মাজানা গিয়েছে, মৃতের এক আত্মীয় মারফৎ পুলিশ এই ঘটনার কথা জানতে পারে।তিনি পুলিশকে জানিয়েছিলেন, যে বারবার চেষ্টা করেও কেউ ঘরের দরজা খুলছে না। এরপর পুলিশের একটি দল লঙ্কার মাদারভা চিট্টুপুর এলাকার ওই বাড়িতে পৌঁছয়। পুলিশ গেলেও কেউ ঘরের দরজা খোলনি। তখন ভিডিয়োগ্রাফি করে ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে পুলিশ। বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করার পরেই পুলিশ একটি ঘরে মহিলার কঙ্কাল দেখতে পেয়ে হতবাক হয়ে যায়। জানা গিয়েছে, ওই বাড়িতে একটি ঘরে মৃতা মহিলার কঙ্কাল ছিল এবং অন্য ঘরে ছিলেন দুই বোন। এরপর পুলিশ কঙ্কালটি উদ্ধার করে। দুই বোন পুলিশের কাছে দাবি করেছে, তাদের মা গত বছরের ডিসেম্বরে অসুস্থতার কারণে মারা গিয়েছিলেন। কিন্তু, তাঁকে দাহ করার জন্য তাদের কাছে কোনও টাকা ছিল না। সেই কারণে মৃতদেহ তারা বাড়িতেই রেখে দিয়েছিলেন। পুলিশের দাবি, দুই বোন মানসিক ভারসাম্যহীন। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, তাদের বাবা বালিয়ায় থাকেন এবং গত দুই বছর ধরে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি তিনি।লঙ্কা থানার পুলিশ অফিসার শিবকান্ত মিশ্র জানান, কঙ্কালটি ফরেন্সিকের জন্য পাঠানো হয়েছে। যদিও এটি খুনের ঘটনা নয় বলেই তিনি জানিয়েছেন।প্রতিবেশীরা পুলিশকে জানিয়েছেন, দুই বোন মাঝে মধ্যে মুদি এবং শাক সবজি কেনার জন্য বাইরে বেরোতেন। তারা বেশ কয়েকজন প্রতিবেশীর কাছ থেকে টাকা ধারও নিয়েছিলেন। প্রতিবেশীরা পুলিশকে জানিয়েছে, দুই বোন যে মায়ের দেহ আগলে রেখেছিলেন সে সম্পর্কে তাদের কোন ধারনায় ছিল না। অন্যদিকে, দুর্গন্ধ থাকা সত্ত্বেও দুই বোন কীভাবে ঘরে থাকতেন? পুলিশ তা জানতে চাইলে তারা বলেন, কাপড় দিয়ে শরীর ঢেকে রাখতেন এবং বেশিরভাগ সময় বাড়ির ছাদে কাটাতেন।পল্লবী পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি একজন স্নাতকোত্তর এবং বৈশ্বিকী দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছিলেন। কিন্তু, গত বছর স্কুল ছেড়ে দিয়েছিলেন।