ছোট ব্যবসাকে ধ্বংস এবং কর্মীদের কম বেতন দেওয়ার প্রতিবাদে ফের ওয়ালমার্ট বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছে।রিটেল ব্যবসার অন্যতম সেরা প্রতিষ্ঠান হল ওয়ালমার্ট। কিন্তু সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতির প্রভাবে কিছু পণ্যের দাম বাড়ানোর ঘোষণা করতেই শিরোনামে উঠে আসে ওয়ালমার্ট। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি কর্মী ছাঁটাইয়ের দিকে নজর দিয়েছে। ইতিমধ্যেই তারা ১৫০০ কর্মীকে ছাঁটাই করেছে। প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা বেশ কয়েকটি পদে নতুনভাবে কাজ করতে চাইছেন। এছাড়াও তারা প্রতিষ্ঠানকে লাভের দিকে সরিয়ে নিয়ে যেতে চাইছেন। (আরও পড়ুন: পরমাণু জুজুকে বুড়ো আঙুল, সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে এবার পাক সেনা প্রধান মুনিরকে তোপ মোদীর)
আরও পড়ুন: পাকিস্তানকে ধুলেন ভারতীয় IFS অফিসার, এককালে KPMG-তে চাকরি করা এই অনুপমা সিং কে?
এই আবহে ২০ থেকে ২৬ মে পর্যন্ত ওয়ালমার্ট বয়কটের ডাক দিয়েছে পিপলস ইউনিয়ন ইউএসএ নামে একটি অ্যাডভোকেসি গ্রুপ।তারা ক্রেতাদের ওয়ালমার্ট এবং স্যামস ক্লাব, ওয়ালমার্ট ফার্মেসি এবং ওয়ালমার্ট+-সহ এর সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলি এড়িয়ে চলার আহ্বান জানিয়েছে। দ্য পিপলস ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা জন শোয়ার্জ বলেন, 'রেকর্ড মুনাফা, কর ফাঁকি, কর্পোরেট লোভের পরে, ওয়ালমার্ট এখন আবার দাম বাড়াতে চায়। কিন্তু এবার শুল্কের কারণে তারা খরচ বহন করতে পারছে না। যেন আপনার এবং আমার এই বোঝা বহন করা উচিত।' (আরও পড়ুন: 'অন্ধকার' থেকেই ইউনুসকে হুঁশিয়ারি বাংলাদেশ সেনার, কী বলছে আওয়ামি লিগ?)
আরও পড়ুন-'প্রধানমন্ত্রীর মৌনতার অর্থ কী?', ভারত-পাক নিয়ে ট্রাম্পের দাবি নিয়ে সরব কংগ্রেস
এদিকে, প্রতিক্রিয়ায় ওয়ালমার্ট এক বিবৃতিতে বলেছে, 'দেশের অন্যতম বৃহত্তম কর্পোরেট করদাতা হিসেবে, আমরা কেবল আমাদের ন্যায্য অংশ পরিশোধ করি না, আমরা কর্মসংস্থান সৃষ্টি, সরবরাহকারী বৃদ্ধি এবং গত বছর ১.৭ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অনুদানের মাধ্যমে দেশব্যাপী সম্প্রদায়গুলিকে শক্তিশালী করার জন্য একটি অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে কাজ করছি।' তারা আরও বলেছে, 'আমরা সমস্ত আমেরিকানদের ব্যবসা এবং প্রতিদিন আমাদের উপর নির্ভরশীল সম্প্রদায়গুলিকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য ও তাদের উন্নতির জন্য আমাদের সময় ও সম্পদ প্রদানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।' ওয়ালমার্ট বয়কট আসলে দ্য পিপলস ইউনিয়ন কর্তৃক আয়োজিত সাপ্তাহিক বিক্ষোভের একটি অংশ। এই গ্রুপ ৪ জুলাই দেশব্যাপী গ্রাহকদের জন্য ব্ল্যাকআউটের পরিকল্পনাও করেছে বলে জানা গেছে।মার্চ মাসে, শোয়ার্জ এবং পিপলস ইউনিয়ন এক সপ্তাহব্যাপী 'অর্থনৈতিক ব্ল্যাকআউট' আয়োজন করে। (আরও পড়ুন: 'মোদীর শিরায় গরম সিঁদুর', পাক নিয়ে কি এবার ট্রাম্পকেও বার্তা প্রধানন্ত্রীর?)
অন্যদিকে,বিশ্বের সবচেয়ে বড় রিটেল শপ ওয়ালমার্ট তাদের একাধিক পণ্যের দাম বৃদ্ধির ঘোষণা করার পরেই, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সোশ্যাল মিডিয়ায় কোম্পানির সমালোচনা করে অভিযোগ করেন যে, তারা তার শুল্ক এজেন্ডাকে দোষারোপ করছে।পাল্টা জবাবে ওয়ালমার্ট বলেছে, তারা সব সময় পণ্যের দাম যতটা সম্ভব কম রাখার চেষ্টা করেছে এবং এই নীতিতে তারা অটল থাকবে। ওয়ালমার্ট রয়টার্সকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমরা আমাদের খুচরা মুনাফা বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে যতটা সম্ভব এবং যতদিন পারি, পণ্যের দাম কম রাখার চেষ্টা করব।’