নাম পবন যোগপাল। সর্পবন্ধু বলা যেতেই পারে। হরিয়ানার ফতেহাবাদ জেলার বাসিন্দা। প্রায় একদশক ধরে তাঁর কাজটা হল কারোর বাড়িতে সাপ ঢুকে গেলে সেটা উদ্ধার করা। ২৮ বছর বয়সি ওই যুবক একেবারে নিরন্তর এই কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।কিন্তু সাপে কামড়ায় না তাকে?একবার নয়, অন্তত ১০ বার তাকে সাপে কামড়েছে। তাঁর দাবি গত এক দশকে তিনি প্রায় ৫৬০০ টি সাপকে উদ্ধার করেছেন। তার মধ্যে ১০ বার তাঁকে সাপে কামড়েছিল। কিন্তু বেঁচে গিয়েছেন।একেবারে চমকে দেওয়ার মতো ঘটনা। সংবাদ সংস্থা এনডিটিভি সূত্রে খবর। তিনি জানিয়েছেন, সম্প্রতি একটি বাচ্চা কোবরাকে আমি উদ্ধার করেছিলাম। ফতেহাবাদে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে জাতীয় পতাকার মধ্যে সাপটি ঢুকে যায়। তিনি জানিয়েছেন, সম্প্রতি বন্যা বহু সাপ গাছে আশ্রয় নিয়েছিল। তাদেরকে তিনি উদ্ধার করেন।কিন্তু এত সাপ ধরে তিনি করেন কি?তাঁর দাবি তিনি সাপগুলিকে জঙ্গলে ছেড়ে দেন। তিনি জানিয়েছেন, ১০ বছর ধরে সাপ ধরছি। অনেক সময় লোকের বাড়িতে, বাগানে সাপ ঢুকে যায়। সেগুলিকে টেনে বের করি। এরপর জঙ্গলে ছেড়ে দিই।কিন্তু আচমকা তিনি এভাবে সাপ ধরাটাকেই তাঁর পেশা হিসাবে বাছলেন কেন? তার মতে, ১৭ বছর বয়সে একটা সাপ তার গ্রামের বাড়িতে ঢুকে পড়েছিল। এদিকে লোকজন জড়ো হয়ে সাপটি মারতে যায়। তখনই তিনি এসে বলেন মারতে হবে না। সেই শুরু। কিন্তু সেদিন একজন এসে সাপটিকে মেরে ফেলে। এরপর থেকেই তার মনে হতে থাকে এভাবে সাপেদের মারলে চলবে না। এরপর তিনি ডিসকভারি চ্যানেল দেখে সাপ ধরার কায়দা রপ্ত করা শুরু করেন।তিনি জানিয়েছে, ১০ বার সাপে কামড়েছে। একবার কোবরা কামড়ে দিয়েছিল। তখন দুদিন হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হয়েছিল। তিনি জানিয়েছে, লোকজন ফোনে খবর দেয়। তখন গিয়ে সাপ উদ্ধার করি। সেই সাপ জঙ্গলে ছেড়ে দিই। এবার বন্যার সময় অন্তত ৪০০-৫০০ সাপ তিনি উদ্ধার করেন। বর্তমানে তাঁর টিমে ৩জন রয়েছেন। তার সাপ উদ্ধারে সহায়তা করেন।