যাকে এই অভিযুক্ত পড়ুয়া ‘সুপারি’ দিয়েছিল, সে নিজেও স্কুল পড়ুয়া। তবে বয়সে ওই সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়ার থেকে একটু বড়। স্কুলের নবম শ্রেণির এক পড়ুয়াকে ওই হত্যার সুপারি দেওয়া হয়েছিল। তবে ওই নবম শ্রেণির পড়ুয়া গোটা বিষয়টি শিক্ষক শিক্ষিকাদের জানালে, ভয়াবহ পরিকল্পনা সামনে আসে।
বাড়িতে ঢুকে নাবালিকাকে ধর্ষণ, চুপ থাকতে নির্যাতিতার বোনকে ২০ টাকা দিল অভিযুক্ত
আরজি কর কাণ্ড সহ দেশে একাধিক ঘটনা বারবার মহিলা নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। আরজি করের ঘটনায় যেখানে এক মহিলা চিকিৎসকের কর্মক্ষেত্রের অন্দরে খুন ও ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে, সেখানে এবার এক নাবালিকা স্কুল পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুন করার প্ল্যানের অভিযোগ উঠল তারই সহপাঠী পড়ুয়ার বিরুদ্ধে। ফলে মহিলা থেকে নাবালিকা, সকলেরই নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকে যাচ্ছে। স্কুলের সহপাঠী বান্ধবীকে ধর্ষণ ও খুন করার জন্য এক জনকে ‘সুপারি’ দেওয়ার অভিযোগ উঠল সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়ার বিরুদ্ধে। ঘটনা পুনের প্রান্তিক এলাকা দৌন্দের।
দৌন্দের এক ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের অন্দরে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনার তথ্য সামনে আসতেই পুলিশ পদক্ষেপ শুরু করেছে। এই স্কুলের সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে তার সহপাঠী এক বান্ধবীকে ধর্ষণ ও খুন করার জন্য একজনকে ১০০ টাকা ‘সুপারি’ দিয়েছিল। যাকে এই অভিযুক্ত পড়ুয়া ‘সুপারি’ দিয়েছিল, সে নিজেও স্কুল পড়ুয়া। তবে বয়সে ওই সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়ার থেকে একটু বড়। স্কুলের নবম শ্রেণির এক পড়ুয়াকে ওই হত্যার সুপারি দেওয়া হয়েছিল। তবে ওই নবম শ্রেণির পড়ুয়া গোটা বিষয়টি শিক্ষক শিক্ষিকাদের জানালে, ভয়াবহ পরিকল্পনা সামনে আসে। ঘটনা কানে যায় ওই ছাত্রীর বাবার। তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হন। পুলিশ এই গোটা ঘটনায় স্কুলের হেড স্যার ও দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। ছাত্রীর বাবা মায়ের অভিযোগ, স্কুল এই বিষয়ে সেভাবে গুরুত্ব দেয়নি। বহুবার অভিযোগের পরও স্কুল এই বিষয়ে ছিল উদাসীন, বলে অভিযোগ ছাত্রীর পরিবারের। অভিযুক্ত ছাত্রটিতে শুধু মাত্র স্কুলের তরফে বকাবকি করে ছেড়ে দেওয়া হয়। তারপরই ছাত্রীর বাবা মা পুলিশের কাছে এফআইআর দায়ের করে।
তবে গোটা ঘটনা যাকে নিয়ে, সেই সপ্তম শ্রেণির নাবালকের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা যায়নি এখনও আইনিভাবে। কারণ তার বয়স ১২ বছরও হয়নি এখনও। আর ‘জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্ট’ কোন ১২ বছরের নিচের বয়সীর বিরুদ্ধে ফৌজদারী অ্যাকশনের অনুমতি দেয় না।
এবার প্রশ্ন হল, কেন নিজেরই ক্লাসে থাকা আরেকজন বান্ধবীর ধর্ষণ ও খুনের মতো ঘটনার ছক মনে এসেছিল ওই সপ্তম শ্রেণির নাবালকের? জানা যাচ্ছে, স্কুলে নিজের মার্কশিটে বাবা মায়ের স্বাক্ষর জাল করে তা শিক্ষককে দেখায় ওই পড়ুয়া। নাবালকের সেই কাণ্ডের কথা জানতে পেরে, ওই ছাত্রী শিক্ষককে সবটা বলে দেয়। সেই ঘটনার প্রতিশোধ নিতেই এই ভয়াবহ কাণ্ডের ছক কষেছিল ওই পড়ুয়া।