আদিত্যনাথ ঝা
বিহারের কাটিহার জেলায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভয়াবহ ঘটনা। মুরাদপুর পঞ্চায়েত এলাকায় ৮জনকে নিশানা করে অ্য়াসিড ছোঁড়ার অভিযোগ। তার জেরে তাদের শরীর পুড়ে গিয়েছে। তার মধ্যে চারজন শিশুও রয়েছে। পারিবারিক বিবাদের জেরে এই ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, দিদি-জামাইবাবুর সঙ্গে এক যুবকের ঝগড়া হচ্ছিল। সেই সময় ওই ব্যক্তি অ্যাসিড ছোঁড়ে। তাতেই তারা আহত হয়েছেন। চারজন শিশুর শরীরেও অ্যাসিড গিয়ে লাগে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, লালু শাহের সঙ্গে তার দিদি আর জামাইবাবুর ঝগড়া হচ্ছিল। তখনই লালু তাদের দিকে অ্য়াসিড ছোড়ে।এদিকে দিদির বাচ্চারও উঁকি দিয়ে ঝগড়া দেখছিল। তাতে আরও রেগে যায় লালু। সে এরপর তাদের দিকেও অ্যাসিড ছুঁড়ে দেয়।
রুবি দেবী নামে এক প্রতিবেশী জানিয়েছেন, চারজন শিশুও পুড়ে গিয়েছে অ্য়াসিডে। তবে তাদের দ্রুত সামেলি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। আপাতত সকলেই স্থিতিশীল রয়েছেন। এদিকে ঘটনার পর থেকেই লালু পালিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল।
স্টেশন হাউজ অফিসার প্রহ্লাদ কুমার যাবব জানিয়েছেন, অ্য়াসিড হানার খবর পেয়েই গ্রামে পুলিশ যায়। কিন্তু সেই সময় অভিযুক্তকে পাওয়া য়ায় নি।
এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, পারিবারিক অশান্তি থেকে এটা হয়েছে। তবে এনিয়ে কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি। তবে শিশু সহ আহত সকলেই আপাতত সুস্থ রয়েছেন।
তবে এর আগেও অ্যাসিড হামলার ঘটনা হয়েছে। ৫০ বছর বয়সি এক লিভ ইন পার্টনারের উপর অ্যাসিড হামলার অভিযোগ উঠেছিল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছিল দক্ষিণ মুম্বইয়ের ভুলেশ্বরে। অ্যাসিড আক্রান্ত মহিলার মুখের ৫২ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। ওই মহিলার লিভ ইন পার্টনার মহেশ পুজারিকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পুজারির সঙ্গে ওই মহিলা লিভ ইন করছেন প্রায় ২৫ বছর ধরে। অনেক আগেই বিয়ে হয়েছিল ওই মহিলার। তাঁর এক ছেলে এবং এক মেয়ে রয়েছে। তবে তাঁর স্বামী তাঁকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। অন্যদিকে, পুজারির স্ত্রীও তাঁকে ছেড়ে দিয়ে চলে গিয়েছিলেন। এরপর তাঁরা ভুলেশ্বরে একটি ঘরে একসঙ্গে থাকতেন। তবে, সম্প্রতি তাদের সম্পর্কে চিড় ধরে। আর তার পরিণতিতেই এই অ্যাসিড হামলা।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক http://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup