প্রচণ্ড কাজের চাপ এবং ম্যানেজারের দুর্ব্যবহারের সহ্য করতে না পেরে এক ইঞ্জিনিয়ারের আত্মহত্যার ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে বেঙ্গালুরুতে। আর এই অভিযোগ তুলেছেন কয়েকজন সহকর্মীরা। গত ৮ মে বেঙ্গালুরুর আগার লেক থেকে ওলার একটি এআই ফার্মে মেশিন লার্নিং ইঞ্জিনিয়ার নিখিল সোমবংশীর (২৫) দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশের অনুমান, তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন। এই খবর সামনে আসে সোশ্যাল মিডিয়ায়। বেঙ্গালুরুর আইআইএসসি থেকে পাশ করে ১০ আগেই চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন নিখিল।
আরও পড়ুন-বাংলাদেশের উড়ন্ত বিমানের চাকা কেন খুলে গেল? 'কারণ' জানিয়ে প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট
ওই ইঞ্জিনিয়ারের দেহ উদ্ধারের দুই সপ্তাহ পরেই অভিযোগ উঠে, দুই সহকর্মী চাকরি ছাড়ার পরে প্রচণ্ড কাজের চাপ দেওয়া শুরু হয়েছিল নিখিলকে। তাতে ক্রমশ অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। ওই ফার্মের এক কর্মী, রেডিট-এ দাবি করেছেন, অতিরিক্ত কাজের চাপেই আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন নিখিল। কিরগাওয়াকুটজো নামের একজন অভিযোগ করেছেন, ওই সংস্থার সিনিয়র ম্যানেজার, রাজকিরণ পানুগান্তি মার্কিন যুক্তরাষ্টে বসে কর্মীদের উপর অতিরিক্ত চাপ দিতেন। কর্মীদের সঙ্গে তিনি খারাপ ব্যবহার করতেন বলেও অভিযোগ। এই কারণেই আগেও ওই সংস্থার একাধিক কর্মী ইস্তফা দিতে বাধ্য হয়েছেন।তিনি আরও দাবি করেন, পানুগান্তি নিয়মিতভাবে নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের প্রতি খারাপ ভাষা ব্যবহার করতেন।তিনি প্রতিকূল এবং বিষাক্ত কর্মপরিবেশ তৈরি করতেন। এর ফলে ওই সংস্থার একাধিক কাজের টিম পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে।
আরও পড়ুন-বাংলাদেশের উড়ন্ত বিমানের চাকা কেন খুলে গেল? 'কারণ' জানিয়ে প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট
নয়া প্যাঁচের কবলে ইসলামাবাদ! পাকিস্তানের উপর ১১টি শর্ত চাপাল আইএমএফ, দাবি Report-র
যদিও এই অভিযোগ খারিজ দিয়েছে ওই সংস্থা। ক্রুট্রিম-এর এক মুখপাত্র দাবি করেছেন, নিখিলের দেহ যখন উদ্ধার হয় তখন তিনি ছুটিতে ছিলেন। তাঁর দাবি, গত ৮এপ্রিল ম্যানেজারের কাছে ছুটির জন্য আবেদন করেন নিখিল। তাঁর কয়েকদিন বিশ্রাম দরকার বলে জানিয়েছিলেন। তাঁর সেই আবেদন মঞ্জুর করাও হয়। পরে ১৭ তারিখেই তিনি আগের থেকে ভালো আছে বলে জানিয়েও বিশ্রামের জন্য আরও কয়েকদিন বাড়তি ছুটি চেয়েছিলেন। সেই আবেদনও মঞ্জুর করা হয়।