এইচএমপিভি ঘিরে ক্রমেই আতঙ্ক বাড়ছে। ভারতে ইতিমধ্যেই ২ শিশুর দেহে এই এইচএমপিভি কেসের হদিশ মিলেছে। দুই শিশুই বেঙ্গালুরুর বলে খবর। তাদের মধ্যে একজনের বয়স ৮ মাস। আরেকজনের বয়স ৩ মাস। এদিকে, চিনের পর হু হু করে বাড়ছে মালয়েশিয়ায় এইএমপিভি কেসের সংখ্যা। এক সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান ঘিরে মালয়েশিয়ার সরকার সেদেশে সতর্কতা অবলম্বনের বার্তা দিয়েছে অ্যাডভাইসারিতে।
পরিসংখ্যান
‘স্ট্রেট টাইমস’র খবর অনুযায়ী, এক সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস বা এইচএমপিভি মালয়েশিয়ায় ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে ৪৫ শতাংশ বেড়েছে। ২০২৩ সালে সেদেশে এই এইচএমপিভি কেসের সংখ্যা ছিল ২২৫ টি। আর ২০২৪ সালে সেই সংখ্যা ৩২৭ হয়েছে। মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রক বলছে, বিষয়টি নিয়ে সতর্ক থাকতে। চরমভাবাপন্ন আবহাওয়ায় সংক্রমণ নিয়েও সতর্ক থাকার কথা বলা হয়েছে। মালয়েশিয়ার মন্ত্রক বলছে, ঘোরাটোপের জায়গায় বা ভিড়ে সাবধান থাকতে। যে সমস্ত দেশে এই রোগের প্রার্দুভাব রয়েছে সেখানে যাওয়ার বিষয়েও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
এইচএমপিভি ভাইরাসের উপসর্গ:-
এই ভাইরাসের উপসর্গের মধ্যে প্রবল সর্দি কাশি একটি দিক। এছাড়াও ধুম জ্বর একটি উপসর্গ। এছাড়াও সর্দিতে ভরা নাক, আর সারাক্ষণ নাক বন্ধ থাকলেও সতর্ক থাকতে হবে। গলা ব্যথা থাকবে, ক্রমাগত হাঁচি হবে। শ্বাসকষ্ট হতে পারে। সারা গায়ে ব়্যাশ বের হতে পারে।
কীভাবে ছড়ায় এই ভাইরাস, ঝুঁকি কাদের বেশি?
এই এইচএমপিভি ভাইরাসের কবেল যে কেউ পড়তে পারেন। তবে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি রয়েছে ৫ বছরের নিচের বয়সীদের। এছাড়াও ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের এই ঝুঁকি থাকতে পারে। এই ভাইরাস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দেয়। যাঁদের অ্যাস্থমা বা সিওপিডির সমস্যা রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রেও এই ভাইরাস বেশ সমস্যাদায়ক বলে মনে করা হচ্ছে।
এইচএমপিভি থেকে রক্ষা পেতে কী কী করণীয়?
বলা হচ্ছে, হাত ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। পারলে তা সাবান আর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলাই ভালো। নাক ও মুখ ঢেকে রাখা ভালো। পারলে নিজের হাতের তালু কম ব্যবহার করুন। যাঁরা সর্দি কাশিতে অসুস্থ, তাঁদের কাছে না থাকাই ভালো। নাক, চোখ, মুখ সহজে সবসময় ছুঁয়ে ফেলবেন না। খাবার বা খাবারের বাসন কারোর সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া থেকে আপাতত বিরত থাকুন।