দেশের সামগ্রিক রফতানি বৃদ্ধির গড়ের তুলনায় এগিয়ে ৮টি রাজ্য। তার মধ্যে অন্যতম হল পশ্চিমবঙ্গ। এই সময় পর্বে জাতীয় স্তরে হার ছিল ৩৪.৬% । অন্যদিকে দিল্লি এবং বামশাসিত কেরলে রফতানি যথাক্রমে ২০% ও ৫৬% হ্রাস পেয়েছে। কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যানই দিচ্ছে এই তথ্য।
Ad
ফাইল ছবি: পিটিআই
পশ্চিমবঙ্গের রফতানি ২০২১-২২-এ প্রায় ৫৫% বেড়েছে। কোভিড পরবর্তী এই সময়টাতেই ধীরে-ধীরে চাঙ্গা হচ্ছিল বিশ্ব। আর তার ভরপুর ফায়দা তুলেছেন রাজ্যের ব্যবসায়ীরা। বিপুল হারে বেড়েছে রফতানি। এমনই পরিসংখ্যান তুলে ধরলেন রাজ্যের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রী শশী পাঁজা। বুধবার বেঙ্গল গ্লোবাল ট্রেড এক্সপো-তে যোগ দেন তিনি। সেখানেই এই তথ্য দেন। রাজ্যের ব্যবসায়ী সংগঠনের যৌথমঞ্চ CWBTA এই এক্সপো-র আয়োজন করে।
শশী পাঁজা বলেন, '২০২১-২২ সালে পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রায় ১৩.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অঙ্কের রফতানি করা হয়েছে। এটি আগের বছরের তুলনায় ৫৫% বেশি। বিশ্ব জুড়ে একটি মন্দা ও অস্থিরতার পরিবেশ রয়েছে। আমার দফতর এবং রাজ্য সরকার রফতানিকারকদের যতটা সম্ভব সহায়তা করছে।' আরও পড়ুন: কল্যাণীতে 'টয় পার্ক' গড়ে তুলবে রাজ্য সরকার, এক বছরের মধ্যে শেষ হবে কাজ
উল্লেখ্য, এর আগের বছর ২০২০-২১ সাল করোনা মহামারীর বছর ছিল। ফলে সেই সময়ে রফতানি তলানিতে ঠেকেছিল। তাই করোনার আগের বছর, ২০১৯-২০-র সঙ্গে এই তুলনা করা হয়েছে।
দেশের গড়ের তুলনায় এগিয়ে পশ্চিমবঙ্গ
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, দেশের সামগ্রিক রফতানি বৃদ্ধির গড়ের তুলনায় এগিয়ে ৮টি রাজ্য। তার মধ্যে অন্যতম হল পশ্চিমবঙ্গ। এই সময় পর্বে জাতীয় স্তরে হার ছিল ৩৪.৬% । অন্যদিকে দিল্লি এবং বামশাসিত কেরলে রফতানি যথাক্রমে ২০% ও ৫৬% হ্রাস পেয়েছে। কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যানই দিচ্ছে এই তথ্য।
রফতানির নিরিখে দেশের শীর্ষে রয়েছে গুজরাট। দেশের মোট রফতানির ৩০%-ই এই একটি রাজ্য থেকেই হয়। গুজরাট আসলে এমন পণ্য উত্পাদন করে, যেগুলির বিশ্বজুড়ে তুমুল চাহিদা রয়েছে। যেমন পেট্রোলিয়াম পণ্য, মুক্তো এবং মূল্যবান পাথর, জৈব রাসায়নিক, অটোমোবাইল ইত্যাদি। রফতানির নিরিখে এরপরেই আছে মহারাষ্ট্র ও তামিলনাড়ু।
বুধবারের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও। তিনি বলেন, 'গত ১১ বছরে একদিনও ধর্মঘট করে সময় নষ্ট করা হয়নি। গত ৬ বছরে পশ্চিমবঙ্গে জিডিপি বছরে গড়ে ১২% করে বেড়েছে। শিল্প তালুকের সংখ্যা ২০১১ সালে ৪৯টি ছিল। আর এই বছর সেটা বেড়ে ৫৫৪-তে পৌঁছে গিয়েছে। ফলে রাজ্যের একনাগাড়ে বৃদ্ধির প্রচেষ্টা এর থেকেই স্পষ্ট হয়ে যায়।'