কেন্দ্রীয় আইনসভার অধ্যক্ষ পদে ১৯২৫ থেকে ১৯৪৬ সালের মধ্যে ৬ বার প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছিল। বিট্ ঠলভাই প্যাটেল তাঁর প্রথম মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে ১৯২৭ সালে সর্বসম্মতিক্রমে এই পদে পুনরায় নির্বাচিত হন। মহাত্মা গান্ধীর আইন অমান্য আন্দোলনের আহ্বানের পর ১৯৩০ সালের ২৮ এপ্রিল প্যাটেল পদত্যাগ করেন।
এবারও কি স্পিকার হবেন ওম বিড়লা
স্বাধীনতার পর থেকে লোকসভার স্পিকার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। সুতরাং, বিরোধী দল ইন্ডিয়া ব্লক যদি ২৬ জুন ১৮ তম লোকসভার অধ্যক্ষ নির্বাচন করতে বাধ্য করে, তবে এটি স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে প্রথম দৃষ্টান্ত হবে কারণ সংসদের নিম্নকক্ষের গুরুত্বপূর্ণ চেয়ারটি সর্বদা ক্ষমতাসীন এবং বিরোধী দল বা জোটের মধ্যে ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচিত হয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে এই ট্রেন্ডই বজায় রয়েছে।
১৯২৫ সালে, তৎকালীন ইম্পেরিয়াল লেজিসলেটিভ কাউন্সিলের নিম্নকক্ষ - ব্রিটিশ ভারতের আইনসভার নিম্নকক্ষ কেন্দ্রীয় আইনসভার স্পিকার নির্বাচনের জন্য ২৪ অগস্ট প্রথমবারের মতো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। স্বরাজ পার্টির নেতা বিট্ঠলভাই জে প্যাটেল টি রাঙ্গাচারিয়ারের বিরুদ্ধে নির্বাচনে জয়ী হন। স্পিকার হিসাবে নির্বাচিত প্যাটেল দুটি ভোটের স্বল্প ব্যবধানে জিতেছিলেন। প্যাটেল রাঙ্গাচারিয়ারের প্রাপ্ত ৫৬ ভোটের বিপরীতে ৫৮ টি ভোট তিনি পেয়েছিলেন।
এবারের লোকসভায় বিরোধী ইন্ডিয়া ব্লক ডেপুটি স্পিকারের পদ চাইছে। প্রথা অনুযায়ী শাসক দল বা জোট স্পিকারের পদ পেলে ডেপুটি স্পিকার আসেন লোকসভায় বিরোধী দল বা জোট থেকে। অষ্টাদশ লোকসভার প্রথম অধিবেশন ২৪ শে জুন শুরু হবে, এই সময়ে নিম্নকক্ষের নতুন সদস্যরা শপথ নেবেন এবং স্পিকার নির্বাচিত হবেন। আগামী ২৬ জুন নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
লোকসভা নির্বাচনে ভারতীয় জোট ২৩৩টি আসন জিতেছে এবং ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) ২৯৩টি আসন জিতে টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতা ধরে রেখেছে। তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি) ১৬টি আসন এবং জনতা দল (ইউ) ১২টি আসন নিয়ে বিজেপির সবচেয়ে বড় জোটসঙ্গী, যারা ২৪০টি আসন পেয়েছে। স্পিকার পদ চায় টিডিপি এমন খবর হাওয়ায় ভাসছে। যদিও প্রকাশ্যে কিছু বিবৃতি আসেনি। বিরোধী উদ্ধব শিবসেনা বলেছে যে টিডিপি প্রার্থী দিলে তারা সমর্থন করবে। এনডিএ সরকারের আরেক শরিক জেডিইউ লোকসভার অধ্যক্ষ পদে সম্ভাব্য বিজেপি প্রার্থীকে সমর্থন করার কথা ঘোষণা করেছে।