নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত প্রসন্ন কুমার রায়ের বাড়ি থেকে দিলীপ ঘোষের ফ্ল্যাটের দলিল মিলেছে। তা নিয়ে তাঁর গ্রেফতারির দাবি তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই পরিস্থিতিতে আবার বিতর্কিত মন্তব্য করে বিড়ম্বনা বাড়ালেন তিনি। 🍨পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনার অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে রাজ্য সরকারকে। আর তা নিয়ে আজ, শুক্রবার বিতর্কিত মন্তব্য করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
ঠিক কী বলেছেন দিলীপ ঘোষ? এই অর্থ বরাদ্দ করলেও কেন্দ্রীয় সরকার কিছু শর্ত চাপিয়েছে। এই নিয়ে নদিয়ার কল্যাণীতে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘আগের থেকেই এই শর্তগুলি ছিল। এই সরকার সেসব মানে না। তাই রিমাইন্ডিং দিয়েছে। যখন প্ল্যানিং হবে, কোন রাস্তাটা তৈরি হবে, সেটা এমএলএ, এমপি’র মতামত নিয়ে করা দরকার। আমি সাড়ে তিন বছরের এমপি আমাকে জিজ্ঞাসা করেনি। গতবছর একবার সার্কুলার দিয়েছিল রাস্তা হয়ে যাওয়ার পর। আমাকে জেলাশাসক পাঠিয়েছিল। এই রাস্তা ঠিক করেছি আমরা করব। তুই ঠিক করার কে রে? পাবলিক আমাকে জিতিয়েছে আমি ঠিক করব। তুই ঠিক 𒁏করে দিয়েছিস। এটা তোর বাপের টাকা? তাই কেন্দ্রের সরকার এদেরকে বারবার শর্ত দিচ্ছে না হলে টাকা বন্ধ করে দেব।’
আর কী বলেছেন মেদিনীপুরের সাংসদ? এভাবে বাপ তুলে মন্তব্য করার জেরে এখন রাজ্য–রাজনীতিতে জোর 🐟শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এখানেই শেষ নয়, এবার হুঙ্কার ছেড়ে মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ বলেন, ‘আইনে সবই আছে। কিন্তু এখানকার সরকার কোনও আইন মানে না। মানবে এবারে। না হলে যেমন ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ আছে, পঞ্চায়েতের বিভিন্ন টাকা বন্ধ🌄 আছে, এটা বন্ধ হয়ে যাবে পুরোপুরি। লুট করার জন্য টাকা কেন্দ্র দেবে না। কেন্দ্রীয় সরকার পরিষ্কার বলেছে, যে প্রকল্পের টাকা সেই প্রকল্পের নামে খরচ হবে। কেন্দ্র বলেছে প্রকল্পের নাম পাল্টালে টাকা আসবে না।’
স্টিকার নিয়ে কী বলেছেন দিলীপ? এই গ্রাম সড়ক যোজনার টাকা বরা🌜দ্দ হতেই মাঠে নেমে পড়েছেন বিজেপি নেতারা। এই নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘গ্রাম সড়ক যোজনার স্টিকার লাগানো হয়েছে। জেলা পরিষদের লোক পাঠিয়ে এই কাজ করা হয়েছে। তার ছবি পাঠানো হয়েছে। স্টিকার লাগানো চলবে না। প্রকল্পের নাম লিখতে হবে। আরও তবে টাকা আসবে। যা যা বলেছে সব করতে হবে। নয়তো কেন্দ্র টাকা বন্ধ করে দেবে। সেটা কেন্দ্রীয় সরকারের অধিকার আছে। প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনার রাস্তা তৈরি হলে রাস্তার দুধারে ফল গাছ বসাতে হবে। আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্য গোটা দুনিয়া চিন্তিত। গ্রিন ট্রাইবুনাল ফাইন করেছে। এটা চলতে পারে না।’