রবিবারের (১৮ মে) ডাবল-হেডারের ফলাফলের নিরিখে তিনটি দল চলতি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের প্লে-অফের যোগ্যতা অর্জন করেছে। পাঞ্জাব কিংস জয়পুরে রাজস্থান রয়্যালসকে হারিয়ে দেয়। পরে দিল্লি ক্যাপিটালসকে তাদের ঘরের মাঠে ১০ উইকেটের পরাজিত করে গুজরাট টাইটানস।
গুজরাট টাইটানস দিল্লি ক্যাপিটালসকে হারিয়ে দেওয়ার পরেই তিনটি দলের প্লে-অফের যোগ্যতা অর্জন নিশ্চিত হয়ে যায়। টাইটানসের সঙ্গে শেষ চারের বৃত্তে ঢুকে পড়ে পঞ্জাব কিংস ও আরসিবি। চেন্নাই সুপার কিংস, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, রাজস্থান রয়্যালস ও গতবারের চ্যাম্পিয়ন কলকাতা নাইট রাইডার্স ইতিমধ্যেই লিগ পর্ব থেকে বিদায় নিশ্চিত করেছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে চতুর্থ দল হিসেবে আইপিএল ২০২৫-এর প্লে-অফে যাওয়ার লড়াইয়ে রয়েছে তিনটি দল। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স, দিল্লি ক্যাপিটালস এবং লখনউ সুপার জায়ান্টসের মধ্যে কোনও একদল প্লে-অফের টিকিট হাতে পাবে।
গুজরাট কীভাবে পঞ্জাব ও আরসিবিকে যোগ্যতা অর্জনে সাহায্য করল
আরসিবি প্রথম দল হিসেবে প্লে-অফের যোগ্যতা অর্জন করতে পারত, যদি শনিবার কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে চিন্নাস্বামীর খেলাটি ভেস্তে না যেত। সেই ম্যাচ জিতলে কোহলিরা শনিবারই শেষ চারের বৃত্তে ঢুকে পড়তেন। পরিবর্তে উভয় দল একটি করে পয়েন্ট ভাগ করে নেওয়ায় কেকেআর প্লে-অফের দৌড় থেকে বাদ পড়ে। RCB পরবর্তী রাউন্ডে খেলার যোগ্যতা অর্জন থেকে মাত্র এক পয়েন্ট দূরে দাঁড়িয়ে ছিল।
রবিবার রাজস্থানকে হারানোর পরে পাঞ্জাব বেঙ্গালুরুর সঙ্গে সেই তালিকায় যোগ দেয়। উভয় দল ১৭ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের প্রথম দুটি স্থান দখল করে। তবে গুজরাট দিল্লির বিপক্ষে না জেতা পর্যন্ত কোনও দলেরই অঙ্কের বিচারে প্লে-অফের যোগ্যতা অর্জন নিশ্চিত ছিল না।
রবিবার দিল্লি যদি নিজেদের ঘরের মাঠে জিতত, তাহলে তারা ১৫ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের চতুর্থ স্থানে উঠে আসত এবং গুজরাট ১৬ পয়েন্টে থাকত। যার অর্থ হত এই যে, এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি হতে পারত যেখানে গুজরাট, দিল্লি এবং মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ১৭ পয়েন্টের বেশি সংগ্রহ করতে পারত। ফলে আরবিসি এবং পঞ্জাব তাদের বাকি দুটি ম্যাচ হারলে বাদ পড়তে পারত।
যদিও অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে গুজরাট জয় নিশ্চিত করায় দিল্লি ১২ ম্যাচে ১৩ পয়েন্টে আটকে যায়। অক্ষর প্যাটেলের নেতৃত্বাধীন দিল্লির বাকি ২টি ম্যাচের মধ্যে একটি মুম্বইয়ের বিপক্ষে রয়েছে। তাই উভয় দলের পক্ষে ১৭ পয়েন্টের গণ্ডি টপকানো সম্ভব নয়। তাদের মধ্যে কেবল একটি দলই অন্তত ১৭ পয়েন্টে পৌঁছতে পারবে। তাই, আরসিবি এবং পঞ্জাব উভয় দল হাতে দুটি ম্যাচ রেখে প্লে-অফের জন্য যোগ্যতা অর্জন করেছে।
প্লে-অফে যাওয়ার জন্য মুম্বই, দিল্লি ও লখনউকে কী করতে হবে
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স: (১২ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট) মুম্বইয়ের ম্যাচ বাকি দিল্লি ও পঞ্জাবের বিরুদ্ধে। হার্দিক পান্ডিয়ার নেতৃত্বাধীন মুম্বই প্লে-অফের লড়াইয়ে থাকা তিন দলের মধ্যে সেরা অবস্থানে রয়েছে। তারা যদি তাদের বাকি দুটি ম্যাচেই জিতে যায়, তাহলে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে প্লে-অফের যোগ্যতা অর্জন করবে। প্রকৃতপক্ষে, মুম্বই তাদের যোগ্যতা অর্জন নিশ্চিত করতে পারে যদি তারা দিল্লিকে তাদের ঘরের মাঠে হারিয়ে দেয়। লখনউ তাদের শেষ তিনটি ম্যাচের মধ্যে একটিতে হারলে সুবিধা হবে মুম্বইয়ের। তবে মুম্বই যদি দিল্লির বিপক্ষে হেরে যায়, তাহলে তাদের শেষ ম্যাচে পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে জয়ও যোগ্যতা অর্জনের জন্য যথেষ্ট হবে না। সেক্ষেত্রে যদি দিল্লি তাদের বাকি দুটি ম্যাচেই জিতে যায়, মুম্বইকে ছিটকে যেতে হবে লড়াই থেকে।
দিল্লি ক্যাপিটালস: (১২ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট) দিল্লির ম্যাচ বাকি মুম্বই ও পঞ্জাবের বূিরুদ্ধে। দিল্লিকে তাদের শেষ দুটি ম্যাচেই জিততে হবে। যে কোনও একটি ম্যাচ হারলেই তাদের মরশুম শেষ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। লখনউ ও মুম্বই তাদের ২টি করে ম্যাচে হারলে ১টি ম্যাচ জিতেও প্লে-অফে যেতে পারে ক্যাপিটালস।
লখনউ সুপার জায়ান্টস: (১১ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট) লখনউয়ের ম্যাচ বাকি হায়দরাবাদ, গুজরাট ও আরসিবির বিরুদ্ধে। তিন দলের মধ্যে সব থেকে বেশি সংখ্যক ম্যাচ বাকি থাকা সত্ত্বেও লখনউয়ের যোগ্যতা অর্জনের সম্ভাবনা সব থেকে কম। যদি তারা তাদের বাকি সব ম্যাচ জেতে তাহলে লখনউ ১৬ পয়েন্টে শেষ করবে। সেক্ষেত্রে মুম্বই যদি ২টি ও দিল্লি ১টি ম্যাচে হারে, একমাত্র তখনই প্লে-অফে যাবে লখনউ।