মেরুকরণের রাজনীতি করার অভিযোগ তুলে বিজেপি ছাড়লেন নন্দীগ্রামের ২ বিজেপি নেতাসহ প্রায় ৫০ জন। নন্দীগ্রামের গোকুলনগরেবিজেপি নেতা অশোক করণ ও নন্দীগ্রাম ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ দেবাশিস দাসসহ প্রায় ৫০ জন বিজেপি নেতা-কর্মীরা বিজেপি ছেড়েছেন বলে জানিয়েছেন। বিজেপির বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অস্থিরতার রাজনীতি করার অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। পালটা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী বলেন, যে গেছে সে যাক। ওতে বিজেপিতে কোনও প্রভাব পড়বে না। নন্দীগ্রামের হিন্দুরা শুভেন্দু অধিকারী ও নরেন্দ্র মোদীর পাশে আছে।সম্প্রতি ১৮ দিনের মধ্যে নন্দীগ্রামে খুন হয়েছেন ২ জন তৃণমূলকর্মী। বদলি হয়েছেন নন্দীগ্রাম থানার আইসি অভিজিৎ মণ্ডল। তারই মধ্যে বিজেপি নেতাদের দলত্যাগ নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে। দলত্যাগ করা নেতাদের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে অস্থিরতার রাজনীতি করতে চাইছে বিজেপি। যা আগামীর জন্য ভালো নয়। এছাড়া পঞ্চায়েতেও ব্যাপক দুর্নীতি হচ্ছে। দলের ওপরমহলে জানিয়েও লাভ হয়নি। ফলে দলবদল করতে বাধ্য হয়েছি।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন কি বাত অনুষ্ঠানে যোগদান করতে রবিবার নন্দীগ্রামের গোকুলনগরে হাজির ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘যে গেছে সে যাক। ওতে বিজেপির কোনও ক্ষতি হবে না। নন্দীগ্রামের হিন্দুরা শুভেন্দু অধিকারী ও নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে রয়েছে। এখানে একটা হিন্দু ভোটও কাটতে পারবে না। এখানকার হিন্দুরা জানে পশ্চিমবঙ্গ যাতে বাংলাদেশ না হয় সেজন্য কী করতে হবে। আর মুসলমানরা জানেন খারিজি মাদ্রাসাগুলিকে টিকিয়ে রাখতে গেলে কাকে ভোটে দিতে হবে।’তবে নন্দীগ্রামে বিজেপির ভাঙনকে হালকাভাবে নিতে রাজি নয় রাজনৈতিক মহল। তাদের দাবি, শুভেন্দু অধিকারীর রাজনীতির সঙ্গে সহমত হতে পারছেন না নন্দীগ্রামের অনেকেই। শুধু নন্দীগ্রামে নয়, রাজ্য বিজেপির অনেক নেতাও এই রাজনীতির সঙ্গে সহমত নন। যার ফলে আগামীতে আরও বড় প্রভাব পড়তে পারে বিজেপিতে।