ঘরের মাঠে রেকর্ড রান তাড়া করতে নেমে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই চালায় গুজরাট টাইটানস। যদিও হাই-স্কোরিং ম্যাচে দু'শো রানের গণ্ডি টপকেও হারের মুখ দেখতে হয় তাদের। লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে জয় তুলে নিলে লিগের টেবিলের প্রথম দুইয়ে থাকা কার্যত নিশ্চিত করে ফেলত টাইটানস। তবে আপাতত পয়েন্ট তালিকার এক নম্বরে থাকলেও সরাসরি প্রথম কোয়ালিফায়ারের যোগ্যতা অর্জন ঝুলে রইল শুভমন গিলদের।
আমদাবাদে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে লখনউ সুপার জায়ান্টস। মিচেল মার্শের শতরানে ভর করে তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ২ উইকেটের বিনিময়ে ২৩৫ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে তোলে। ঝোড়ো হাফ-সেঞ্চুরি করেন নিকোলাস পুরান।
ঝোড়ো শতরান মিচেল মার্শের
মার্শ ৪টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৩৩ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি শতরানের গণ্ডি টপকান মাত্র ৫৬ বলে। সাহায্য নেন ১০টি চার ও ৬টি ছক্কার। আইপিএল কেরিয়ারে এটি মিচেল মার্শের প্রথম শতরান। শেষমেশ ১১৭ রান করে আউট হন মার্শ। ৬৪ বলের মারকাটারি ইনিংসে ১০টি চার ও ৮টি ছক্কা মারেন অজি তারকা।
দাপুটে অর্ধশতরান নিকোলাস পুরানের
নিকোলাস পুরান ৪টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ২৩ বলে ব্যক্তিগত অর্ধশতরান পূর্ণ করেন। তিনি ২৭ বলে ৫৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। মারেন ৪টি চার ও ৫টি ছক্কা। ৩টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ২৪ বলে ৩৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন এডেন মার্করাম। ২টি ছক্কার সাহায্যে ৬ বলে ১৬ রান করে নট-আউট থাকেন ঋষভ পন্ত।
গুজরাটের হয়ে ৩৪ রানে ১টি উইকেট নেন সাই কিশোর। ৩৬ রান খরচ করে ১টি উইকেট সংগ্রহ করেন আরশাদ খান। বাকিরা কেউই উইকেট পাননি। রশিদ খান ২ ওভারে ৩৬ রান খরচ করেন।
ব্যর্থ হয় শাহরুখ খানের হাফ-সেঞ্চুরি
পালটা ব্যাট করতে নেমে গুজরাট টাইটানস ২০ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ২০২ রানে আটকে যায়। ৩৩ রানের ব্যবধানে ম্যাচ জেতে লখনউ সুপার জায়ান্টস। দল হারায় জলে যায় শাহরুখ খানের হাফ-সেঞ্চুরি। তিনি ৫টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ২৯ বলে ৫৭ রান করেন।
গুজরাটের সাই সুদর্শন ৪টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৬ বলে ২১ রান করেন। ৭টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২০ বলে ৩৫ রান করেন শুভমন গিল। ৩টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ১৮ বলে ৩৩ রান করেন জোস বাটলার। ১টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ২২ বলে ৩৮ রান করেন শেরফান রাদারফোর্ড।
লখনউয়ের হয়ে ৪ ওভারে ২৭ রান খরচ করে ৩টি উইকেট নেন উইল ও'রোর্ক। ১ ওভারে ৪ রান খরচ করে ২টি উইকেট নেন আয়ুষ বাদোনি। ২টি উইকেট নিলেও ৩.৫ ওভারে ৫১ রান খরচ করেন আবেশ খান। ১টি করে উইকেট নেন আকাশ সিং ও শাহবাজ আহমেদ।