দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। স্থল সীমান্তের পাশাপাশি জল সীমান্তে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। সাধারণত সীমান্তে নজরদারি চালিয়ে থাকে বিএসএফ। ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের পরে জল সীমান্ত হয়ে জঙ্গিরা ভারতে প্রবেশ করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন জঙ্গিরা। এই অবস্থায় সুন্দরবনে জল সীমান্তে নজরদারি আগেই বাড়ানো হয়েছে। এবার নিরাপত্তা আরও বাড়াতে ফাঁড়ি বা আউটপোস্টের সংখ্যা বাড়াতে চাইছে বিএসএফ। যার মধ্যে বেশিরভাগ ফাঁড়ি হতে চলেছে ভাসমান। গত মঙ্গলবার এ নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কেন্দ্রের উচ্চপর্যায়ের বৈঠꦗক হয়েছে। সেই প্রস্তাবে রাজি হয়েছে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন: ভার🌠ত-বাংলাদেশ সীমান্তে BSF-এর পাশে গ্রামের যুবক-মহিলারা, বঁটি-শাবল-কাটারি হাতে..
অনুপ্রবেশ ঠেকাতেই এই পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসএফ। কোথায় ফাঁড়ি করা হবে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই ইতিমধ্যে💟 রাজ্য সরকারকে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সরকার বদলের পর থেকেই সেদেশে অস্থির পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন বিষয়ে ভারত-বিরোধী মনোভাব সামনে এনেছে বাংলাদেশ। এর ফলে দু'দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। তারপর থেকেই বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় ফাঁড়ি তৈরির জন্য বিএসএফকে জমিদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভা। সূত্রের খবর, প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে জল সীমান্তে নতুন সাতটি ফাঁড়ি বা আউটপোস্ট তৈরি করা হবে। এর ফলে সুন্দরবনে একটি ফাঁড়ির সঙ্গে আ🌄রও একটি ফাঁড়ির দূরত্ব কমবে। তাতে নজরদারি এবং নিরাপত্তা বাড়বে।
উল্লেখ্য, এ রাজ্যে প্রায় ১৫৭ কিলোমিটার বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী উপকূলীয় এলাকা রয়েছে। জল সীমান্ত রয়েছে সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায়। যদিও উপকূলীয় থানা রয়েছে। তবে জল সীমান্তে নজরদারি চালিয়ে থাকে বিএসএফ। বাংলাদশের জাহাজ এবং নৌকার ওপর নজরদারি চালিয়ে থাকে বিএসএফ। জলপথের মাধ্যমে কেউ অবৈধ অনুপ্রবেশ 🙈না করতে পারে, তা দেখে থাকে বিএসএফ। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশে সরকার পতন হতেই বিভিন্ন ভারত-বিরোধী সংগঠন মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। ফলে সীমান্তে বাড়তি নজরদারি আরও গুরুত্বপুর্ণ হয়ে উঠেছে।