ভারত–বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মুর্শিদাবাদের সাগরপাড়া থানা এলাকায় একটি গোপন ডেরা তৈরি করা হয়েছিল। আর ওই ডেরায় বসে জাল আধার কার্ড তৈরি করার কাজ চলত বলে অভিযোগ। আর এই অভিযোগের ভিত্তিতে আজ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হল দুই যুবক। তবে এই গ্রেফতার এবং চক্💧রের পর্দাফাঁস করা পুলিশের কাছে মোটেই সহজ কাজ ছিল না। এখানে আধার কার্ড তৈরি করতে♈ কোনও নথির দরকার হতো না। শুধু টাকা দিলেই বানিয়ে দেওয়া হতো বলে অভিযোগ। মুর্শিদাবাদে বাংলাদেশ সীমান্তে এভাবেই জাল আধার কার্ড তৈরির চক্র চলছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আজ শনিবার সেখানে অভিযান চালিয়ে বড় সাফল্য পেল পুলিশ।
এদিকে জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সাগরপাড়া থানা পুলিশের একটি দল নরসিংহপুর বাজারে অভিযান চালায়। সেখানে একটি দোকানে যায় প্রথমে এই পুলিশের টিম। তাঁদের দেখে চেনার উপায় ছিল না যে তাঁরা পুলিশ। তারপর সেখান থেকে বারোমাসিয়া গ্রামের বাসিন্দা সানাউল্লাহ শেখ (৩২) এবং আনোয়ার রহমান (৩০) নামে দুই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃত দুই যুবকের একসপ্তাহের পুলিশ হেফাজতের আবেদন করা🎐 হয়েছে বহরমপুর আদালতে। তবে বিচারক চারদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। এই চক্রে আরও কেউ জড়িত কিনা সেটা জানতে ধৃতদের জেরা করবেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সফর ঘিরে চলছে জোর প্রস্তুতি, তিনদিনে কেমন কর্মসূচি থাকছে?
অন্যদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, সীমান্তের গ্রামে একটি ছবি প্রিন্টের দোকান রয়েছে। আর সেখানে বসেই জাল আধার কার্ড তৈরির ব্যবসা ফেঁদে বসেছিল এই দুই যুবক। আগে গোটা জায়গার খবর পেয়ে পরিকল্পনা করে পুলিশ। তারপর খদ্দের সেজে প্রথমে পুলিশ সেখানে যায়। আধার কার্ড করতে কত টাকা লাগবে? সহ নানা প্রশ্ন করেন পুলিশ অফিসাররা। তখনই ধরা পড়ে যায় ওই দুই যুবক। ততক্ষণে চারদিক দিয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘিরে ফেলেছে। সুতরাং পালাতে সক্ষম হয়নি ওই দুই অভিযুক্ত। দোকান থেকে দুটি ল্যাপটপ, একটি প্রিন্টার, দুটি স্মার্টফোন, চারটি সিম কার্ড এবং তিনটি প্রিন্ট করা জাল আধার কার্ড বাজেয়াপ্ত করౠেন তদন্তকারীরা।
এছাড়া জেরায় ধৃতরা পুলিশের কাছে জাল চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছে। এই কাজে তাদের আরও কয়েকজন সহযোগী ছিল। তাদের নাম জোগাড় করেছে পুলিশ এবং তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। এই বিষয়ে এসডিপিও (ডোমকল) শুভম বাজাজ বলেন, ‘ধৃত যুবকদের হেফাজত থেকে দুটি ল্যাপটপ, একটি প্রিন্টার, একটি স্মার্টফোন, চারটি সিম কার্ড, দুটি ফিঙ্গার স্ক্যানার এবং তিনটি আধার কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে আমরা জানতে পেরেছি বাজেয়াপ্ত ক𓂃রা ইলেকট্রনিক্স ডিভাইজগুলি ব্যবহার করেই ধৃত যুবকরা অনেকদিন ধরে বেআইনিভাবে জাল আধার কার্ড তৈরির চক্র চালাচ্ছিল।’