বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এভারেস্ট জয় করার পর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই পর্বতারোহী সুব্রত ঘোষের মৃত্যু মেনে নিতে পারছে না তার পরিবার। ছেলের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর থেকেই বিধ্বস্ত সুব্রতর মা। অন্যদিকে, সুব্রতর পিসতুতো দিদি - সুমিত্রা দেবনাথ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, আ🅠গে ভাইয়ের মৃতদেহ চাক্ষুষ করবেন, তবেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে মানবেন। একইসঙ্গে, এই ঘটনায় কাঠমাণ্ডুর সংশ্লিষ্ট এজেন্সির বিরুদ্ধে চরম অ🐟সহযোগিতারও অভিযোগ তুলেছেন সুমিত্রা।
বাগদা ব্লকের কাপাসাটি মিলন বিথি উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন বছর পঁয়তাল্লিশ🐲ের সুব্রত। প্রায় ১০ বছর আগে স্বনামধন্য পর্বতারোহী বসন্ত সিংহ রায়ের মাউন্টেনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ কৃষ্ণনগর-এ যোগ দেন তিনি। তবে, সেই ক্লাবের তরফে তাঁকে এভারেস্ট অভিযানে পাঠানো হয়নি। সুব্রত সেখানে গিয়েছিলেন সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত🍒 উদ্যোগে। তার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলেন একটু একটু করে।
সেই প্রচেষ্টায় সফলও হয়েছিলেন তিনি। ছুঁয়ে ফেলেছিলেন বিশ্বের উচ্চতম শৃঙ্গ। কিন্তু, তারপ🍰রই এল দুঃসংবাদ। জানা গিয়েছে, এভারেস্ﷺট জয়ের পর নীচে নামার পথেই প্রাণ যায় সুব্রত ঘোষের। এ নিয়ে সুব্রত দিদি সুমিত্রা বলেন, 'কোথায় মৃতদেহ? অন্তত ছবি দেখাক। তবে বিশ্বাস করব।' প্রসঙ্গত, সুমিত্রা নিজেও পর্বতারোহণের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।
সুব্রতর সঙ্গে তাঁর মায়ের শেষবার ভিডিয়ো কলে কথা হয়েছিল দিন দুই আগে। তারপর তিনিও বাকিদের মতোই ছেলের সাফল্যের খবর পান🌸। কিন্তু, সেই আনন্দ উদযাপন করার আগেই শুক্রবার ভোরে সুব্রতর মৃত্যুর খবর পৌঁছে যায় রাণাঘাটের বাড়িতে। ছেলে যে আর কোনও দিন ফিরবে না, এটা কিছুতেই মানত🐽ে পারছেন না সুব্রতর মা।
এদিকে, সুব্রতর পিসতুতো দিদি সুমিত্রাও ভাইয়ের সঙ্গে এভারেস্টের বেস ক্যাম্প পর্যন্ত গিয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগ কাঠমাণ্ডুর সংস্থা স্নোয়ি হরাইজন লাগাতার তাঁদের সঙ্গে অসহযোগিতা করে এসেছে। বৃহস্পতিবার শৃঙ্গ জয়ের পর রাতে বেস ক্যাম্পে ফেরেননি সুব্রত। সেই সময়েই তাঁর খোঁজে ওই এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু তখন 🔯তারা কোনও সাহায্য করেনি।
যদিও এজেন্সির পালটা দাবি, শৃঙ্গ জয়ের প💟র দেরি করে রওনা দিয়েছিলেন সুব্রত। এর ফলে মাঝপথেই তাঁর অক্সিজেন শেষ হয়ে যায়। যে কারণে সাউথ কল ও হিলারি স্টেপের মাঝে আটকে পড়েন তিনি। এজেন্সির তরফে দাবি করা হচ্ছে, হিলারি স্টেপের কাছেই সুব্রতর মৃত্যু হয়েছে এবং সেখানেই তাঁর মৃতদেহ রয়েছে।