মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরোধিতার নামে তাণ্ডব চলেছে ১১ এপ্রিল। সেই ঘটনায় বিক্ষোভকারীদের রোষের মুখে পড়েন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ খলিলুর রহমানও। জানা গিয়েছে, ধুলিয়ানে খলিলুরের অফিসে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। এদিকে তৃণমূল সাংসদকে ঘিরে ধরে গালাগালি করা হয় বলে অভিযোগ। এই নিয়ে খলিলুর নিজে সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, 'আমি শাজুরমোড় পার হচ্ছিলাম। সেই সময় বিক্ষোভকারীরা আমাকে ঘিরে ধরে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। বিক্ষোভকারীদের হাতে কোনও সংগঠনের পতাকা ছিল না। সেখানে কোনও নেতাও ছিল না। পরে পুলিশ আমাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে।' (আরও পড়ুন: ওয়াকফ তাণ্ডব ঠেকাতে BSF-এর শরণাপন্ন প্রশাসন, কী বলল সীমান্তরক্ষী বাহিনী?)
আরও পড়ুন: গোপন আলোচনা হয় রাজ্যপাল-মুখ্যমন্ত্রীর, মুর্শিদাবাদ হিংসার পর মুখ্যসচিব বলেন…
মুর্শিদাবাদে হিংসার ঘটনা নিয়ে আবার শাসকদলকে ক্রমশ তোপ দেগে চলেছে বিজেপি। সুকান্ত মজুমদার একের পর এক হিংসর ভিডিয়ো প্রকাশ করে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্য সরকারের ওপরে। অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যের বেশ কিছু স্থানে ৩৫৫ ধারা জারি করার দাবি তুলেছেন। বিরোধী দলনেতা বলেছেন, 'বাংলাদেশের থেকেও খারাপ অবস্থা এই রাজ্যের। কড়েয়া থানা এলাকায় জলযাত্রীদের ওপর আক্রমণ হয়েছে। চাঁপদানিতে পুলিশ ফাঁড়ির পাশে হিন্দুদের পতাকা নামানো হয়েছে। মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডে দুর্গামণ্ডপ ও রাধাকৃষ্ণ মন্দির ভাঙচুর করা হয়েছে। ওই এলাকায় বসবাসকারী হিন্দুদের বাড়ি ও দোকান তছনছ করা হয়েছে। অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। ধুলিয়ান লাগোয়া সামসেরগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র এলাকার ডাকবাংলো মোড়, কাঞ্চনতলাতে ৩০টা হিন্দু দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে। ঠিক একই ভাবে ১৯ সালে ঔরঙ্গাবাদ, উমরপুর, নিমতিতাতে ৬৮টা দোকান ভাঙা হয়েছিল, লুঠ করা হয়েছিল। ধুলিয়ান শহর থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে একটি মন্দির ভাঙা হয়েছে।'
এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে রাজ্য পুলিশ দাবি করেছে, বর্তমানে সুতি এবং সমশেরগঞ্জের পরিস্থিতি স্বাভাবিক। পুলিশের তরফ থেকে বলা হয়েছে, 'সুতি ও জঙ্গিপুরের সামসেরগঞ্জের পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পুলিশ বিশৃঙ্খল জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে সরিয়ে দিয়েছে। জাতীয় সড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। যারা হিংসার ঘটনায় জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা সমস্যা তৈরি করেছে তাদের গ্রেফতার করতে অভিযান চলছে। যারা ভুল তথ্য দিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গুজবে কান দেবেন না, শান্ত থাকুন।'