বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Head Teacher Dance Video goes Viral: শার্ট খুলে মদ্যপ অবস্থায় উদ্দাম নাচ 'অসুস্থ' প্রধান শিক্ষকের, ভাইরাল হল ভিডিয়ো
পরবর্তী খবর
Head Teacher Dance Video goes Viral: শার্ট খুলে মদ্যপ অবস্থায় উদ্দাম নাচ 'অসুস্থ' প্রধান শিক্ষকের, ভাইরাল হল ভিডিয়ো
হাওড়ার শ্যামপুর ১ নং ব্লকের বানেশ্বরপুরের বিনোদচক তফসিলি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চন্দন দে-র বিরুদ্ধে মদ্যপ অবস্থায় নাচের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিগত আড়াই বছর ধরে তিনি স্কুলে যান না। বদলে তাঁর মেয়ে ক্লাস নিয়ে থাকেন।
মঞ্চে শার্ট খুলে নাচ প্রধান শিক্ষকের
দীর্ঘদিন ধরে স্কুলে আসেন না প্রধান শিক্ষক। তবে অনুষ্ঠান মঞ্চে ঠিকই তাঁকে নাচতে দেখা যায়। সম্প্রতি এমনই ঘটনা ঘটেছে হাওড়ার শ্যামপুর ১ নং ব্লকের বানেশ্বরপুরে। অভিযোগের আঙুল উঠেছে বিনোদচক তফসিলি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চন্দন দে-র দিকে। স্থানীয়দের অভিযোগ, অসুস্থতার নাম করে দীর্ঘদিন ধরে স্কুলে যান না চন্দন দে। তবে তাঁকে প্রায় সব সময়ই মত্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায় জনসমক্ষে। এদিকে চন্দন দে-র বদলে নাকি বিগত প্রায় ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে স্কুলে ক্লাস নেন তাঁর মেয়ে রিয়া। (আরও পড়ুন: নবম ও দশমের পড়ুয়াদের এবার কিনতে হবে নতুন সংস্করণের ৫টি বই, জানাল পর্ষদ)
বাবা চন্দন দে-র বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সংবাদমাধ্যমের কাছে রিয়া দাবি করেন, তাঁর বাবা অসুস্থ। তাই তিনি প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ভাইরাল হওয়া চন্দন দে-র নাচের ভিডিয়োতে প্রশ্ন উঠেছে, সত্যি কি অসুস্থ চন্দন দে? তাহলে একজন অসুস্থ মানুষ এভাবে নাচেন কীভাবে? আরও প্রশ্ন উঠেছে, কীভাবে একজন শিক্ষকের পরিবর্তে তাঁর মেয়ে ক্লাস করাতে পারেন? এদিকে বিষয়টি সামনে আসার পরেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা দফতর। জানা গিয়েছে, এই স্কুলে মোট দু'জন শিক্ষক রয়েছে। চন্দন ছাড়াও আরও একজন শিক্ষিকা রয়েছেন। তবে দীর্ঘ প্রায় আড়াই বছর ধরে স্কুলে এসে ক্লাস করান না চন্দন দে।
এদিকে চন্দন দে-র সাম্প্রতিক নাচের ভিডিয়োতে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে। শুধুাত্র এলাকা নয়, গোটা রাজ্যেই এই নিয়ে চর্তা শুরু হয়েছে। হাওড়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষ এই বিষয়ে জানান, এসআইকে সেই স্কুলে গিয়ে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও দাবি করেন তিনি। এদিকে শ্যামপুর ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মৃন্ময় মান্নাকে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি তা এড়িয়ে যান। তাঁর দাবি, তিনি ঘটনা সম্পর্কে অবগত নন। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান তিনি।