1 মিনিটে পড়ুন Updated: 27 Feb 2024, 07:05 PM ISTChiranjib Paul
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে জেলে বন্দি হুগলির কোন্নগরের আদর্শনগরের বাসিন্দা শান্তা শর্মা এবং ইফফাত পরভিন। তবে দুজনেই পৃথক জেলে রয়েছেন তাঁরা
শান্তা শর্মা এবং ইফফাত পরভিন
জেলের ভাত মুখে রুচছে না। ভাজাভুজি খেতে চাইছেন কোন্নগরে আট বছরের শিশু সন্তানকে খুনে অভিযুক্ত মা ও তাঁর বান্ধবী।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে জেলে বন্দি হুগলির কোন্নগরের আদর্শনগরের বাসিন্দা শান্তা শর্মা এবং ইফফাত পরভিন। তবে দুজনেই পৃথক জেলে রয়েছেন তাঁরা। খুনে অভিযুক্ত শিশুর মা রয়েছেন উত্তরপাড়া থানায়। অন্যদিকে পরভিন বন্দি শ্রীরামপুর মহিলা থানায়। জেরার সময় তাঁদের উত্তরপাড়া থানায় আনা হচ্ছে। তবে পুলিশ জানিয়েছে জেরা সময় সে ভাবে কোনও জবাব দিতে চাইছেন না। ফলে তদন্তও এগোচ্ছে না সেভাবে।
কেন তাঁরা মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছেন তার কারণও বুঝতে পরেছেন তদন্তকারী অফিসাররা। জেলের খাবার তাঁদের পছন্দ হচ্ছে না। তাঁরা চাইছেন বাইরের মুখরোচক খাবার। তা না দেওয়াতেই তার কিছু বলতে চাইছেন না বলে জানিয়েছেন এক পুলিশ আধিকারিক।
ওই পুলিশ আধিকারিকের কথায়, 'জেলের খাবার খেতে চাইছেন না শান্তা শর্মা এবং তাঁর বান্ধবী ইফফাত পরভিন। তাদের কেউ চাইছেন বিরিয়ানি, কেউ আবার চাইনিজ। ভাত-রুটি কোনও পদই তাদের মুখে রুচচে না। পছন্দের খাবার না পেয়ে তাঁরা মুখ বন্ধ করে রেখেছেন।'
স্কুল ছাত্র শ্রেয়াংশুকে খুনের অভিযোগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি তার মা ও মায়ের বান্ধবীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্ত উঠে আসে মায়ের সমপ্রেম সম্পর্ক ও দাম্পত্য কলহের কথাও। যদিও তাঁরা জেরাতে এখনও কিছুই স্বীকার করেনি। তবে এই খুনের ঘটনায় পুলিশের কাছে প্রচুর তথ্য প্রমাণ এসেছে বলে সূত্রে জানা গিয়েছে।
পুলিস জানতে পরেছে, শান্তা শর্মা কোন্নগরের কনাইপুরের গঙ্গানগরে দুই কাঠা জমি কিনেছিলেন। সেই জমির মধ্যস্থতা করে দেন এক ব্যক্তি। তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, ৭ বছর আগে ৪ লাখ টাকা দিয়ে ২ কাঠা জমি কিনেছিলেন শান্তা। জমিটি তাঁর নামে মিউটেশনও করা হয়। সেই জমি মাঝে মাঝে দেখতে আসতেন তিনি। শান্তা স্বামীকে নিয়েও দেখতে আসতেন।