'পাকিস্তান ও বাংলাদেশ হাত মিলিয়ে আমাদের দেশকে চমকাবে, সেই দিন চলে গিয়েছে।' সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনই মন্তব্য করলেন ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকি। তাঁর কথায়, 'ভারতের দিকে যদি কেউ আঙুল তোলে, সেই আঙুল ভেঙে দেওয়ার ক্ষমতা আমাদের আছে। শুধু বাংলাদেশ নয়, যেকোনও দেশ ভারতের একমুঠো মাটি নেওয়ার চিন্তা ভাবনা করে, আমরা তার কব্জি কেটে নেব। ভারতবর্ষের মাটির মূল্য আছে। যদি কেউ মনে করে, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ হাত মিলিয়ে নিয়ে ভারতকে চমকাব, সেই চমকানোর দিন চলে গিয়েছে। আমরা ভারতের মানুষ সব সময় চাইব, যাতে বাংলাদেশের মানুষ জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবাই শান্তিতে থাকুক। আমি একজন ধর্মগুরু হয়ে চাইব, তাঁরা সুখে থাকুক। আর ভারতেরও সংখ্যাগুরু এবং সংখ্যালঘুরা শান্তিতে থাকুক।' (আরও পড়ুন: '১৫ মিনিট...', 'কলকাতা দখলের' পালটা বাংলাদেশ দখলের হুমকি TMC-র মুসলিম নেতার!)
উল্লেখ্য, 'চার দিনে কলকাতা দখলের' হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বাংলাদেশের এক প্রাক্তন সেনা কর্তা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল সেই ভিডিয়ো। এরপরে বিএনপি নেতা রুহুল রিজভিও ভারতের একাংশ দখলের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। আবার বাংলাদেশের তিসরাই ইনসাফ পার্টির নেতা মিনাজ প্রধানও বলেন, 'আমরা চার দিনের মধ্যেই কলকাতা, আগরলতলা ও সেভেন সিস্টার্স দখল করে নিতে পারি।' যার পালটা জবাব দিয়ে বিধানসভায় সরব হয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভি ভারতের একাংশ দখলের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। আবার বাংলাদেশের তিসরাই ইনসাফ পার্টির নেতা মিনাজ প্রধানও বলেন, 'আমরা চার দিনের মধ্যেই কলকাতা, আগরলতলা ও সেভেন সিস্টার্স দখল করে নিতে পারি।' যার পালটা তোপ দেগে বিধানসভায় মমতা বলেছিলেন, 'কেউ কেউ বলছেন, বিহার দখল করবেন, ওড়িশা দখল করবেন...আমি বলি ভাই, ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, সুন্দর থাকবেন। কিন্তু এতটাও হিম্মত আপনার কেন, কারও নেই। যে বাংলা, বিহার, ওড়িশা সব নিয়ে নেবেন, আর আমরা বসে বসে ললিপপ খাব। এটা ভাববার কোনও কারণ নেই। আমরা যথেষ্ট সচেতন নাগরিক।' এই মন্তব্যের পরদিনই বাংলাদেশের বিএনপি নেতা রুহুল রিজভি আবার বলেন, 'আমরা কি আমলকি চুষব?' এই সব মন্তব্য, পালটা মন্তব্যের আবহেই এখন উত্তপ্ত পরিস্থিতি দুই বাংলার মধ্যে।
অপদিকে সম্প্রতি বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম বাংলাদেশ টাইমসের তরফ থেকে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, মাথায় সেই দেশের পতাকার রঙের টুপি পরা এক ব্যক্তি বলেন, 'সামরিক বাহিনী, ছাত্র-জনতা - আমরা একত্রিত আছি। রাওয়ায় (আমাদের) ৫,০০০ সদস্য আছি। তাঁদের মধ্যে অর্ধেকই নবীন। আমরা ২,৫০০ জন যুদ্ধে মাঠে যেতে পারি। এর সঙ্গে যদি ৩০ লাখ ছাত্র-জনতা যোগ হয়,তাহলে ভারত তো দূরের কথা, আমেরিকাও আমাদের সঙ্গে টিকবে না, ইনশাল্লাহ।'
তাঁর সেই কথা শেষ হওয়ার আগেই পাশ থেকে নিজেকে বাংলাদেশ সেনার প্রাক্তন সদস্য দাবি করা এক ব্যক্তি আবার কলকাতা দখলের হুমকি দিয়ে বসেন। ওই সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, রীতিমতো উত্তেজিত হয়ে ওই বৃদ্ধ বলেন যে 'আমি মেজর শরিফ। আমি বলে দিচ্ছি ভারতকে যে ট্রেনিং আমরা নিয়েছি, যে যুদ্ধ আমরা করেছি....আমরা দু'লাখ সৈনিক (আছি)। আমাদের সঙ্গে ১৮ কোটি জনগণ আছে। আমাদের ট্রেনিং, আমাদের দক্ষতা ভারতের থেকে অনেক বেশি। আমরা একবার সাহস করে....আমাদের দেশকে যুদ্ধ....আমরা চারদিনের মধ্যে কলকাতা দখল করে নেব।' এই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। যার পরে দুই দেশেই 'একে অপরের জায়গা দখল' নিয়ে মন্তব্য করতে শোনা যায় অনেককে।