আজ, সোমবার উত্তরবঙ্গে বাণিজ্য সম্মেলন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার মধ্যেই উদ্বোধন করলেন জল্পেশ মন্দিরের স্কাইওয়াকের। চারটি শিল্প পার্কেরও উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরই শিলিগুড়িতে একটি কনভেনশন সেন্টার করার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। শিলিগুড়িতে উত্তরায়নের বিপরীতে তা হতে পারে বলে জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামীকাল মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গের ৬টি জেলা থেকে দিঘাগামী ৬টি ভলভো বাসের উদ্বোধন হতে চলেছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। এই আবহে মঞ্চ থেকে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহকে সতর্কবার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে এবার উত্তরবঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে নানা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ উত্তরবঙ্গের নানা শিল্পপতিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প ছাড়াও পর্যটন, ফুড প্রসেসিং, চা–শিল্পের উপর বিশেষ জোর দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। ২০২৬ সালে বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে বাংলায়। তার মধ্যে প্রকাশ্যে উদয়নকে সতর্ক করার ঘটনায় জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। কোচবিহারে উদয়নের হাত ধরে তৃণমূল কংগ্রেস ঘুরে দাঁড়ালেও তাঁর নানা বিতর্কিত মন্তব্য দলকে অস্বস্তিতেও ফেলেছে। তাই আজ তাঁকে সতর্ক করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ‘দিল্লিতে টি–বোর্ড ঘেরাও করে রাখা হবে’, শিলিগুড়ির বাণিজ্য সম্মেলন থেকে নির্দেশ মমতার
অন্যদিকে শিল্প নিয়ে যাতে কোনও অসুবিধা না হয় তার জন্য মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে সামনে রেখে কয়েকজন শিল্পপতিকে নিয়ে একটি কোর কমিটি করার নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেপাল থেকে চা ঢুকে দার্জিলিং চায়ের বদনাম করছে বলে উষ্মা প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপরই মুখ্যমন্ত্রী সতর্ক করে উদয়নকে বলেন, ‘মনে রেখো, এটা কিন্তু দিনহাটা নয়।’ এভাবেই উত্তরবঙ্গ সফরে এসে প্রকাশ্যেই উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রীকে সমঝে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
তাছাড়া শিলিগুড়ির দীনবন্ধু মঞ্চে এই শিল্প সম্মেলনে সকল শিল্পপতিদের কথা শোনেন মুখ্যমন্ত্রী। ছোট–মাঝারি শিল্পের উপর জোর দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর উদয়ন গুহ যখন বলতে ওঠেন তখন মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে মনে করিয়ে দেন, এটা দিনহাটা নয়। জবাবে দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ বুঝতে পেরে বলেন, ‘আমি দুর্মুখ বলেই মুখ্যমন্ত্রী আমাকে ভয় পাচ্ছেন।’ পাল্টা জবাবে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘আমি কাউকে ভয় পাই না।’ এরপর কথা আর না বাড়িয়ে উদয়ন গুহ মঞ্চ থেকে বলেন, ‘এখানে সবাই আপনার প্রশংসা করছে। সবাই স্বীকার করেছে ব্যবসা করার ক্ষেত্রে কীভাবে আপনি ওনাদের সাহায্য করেছেন। কিন্তু এই সাহায্যটা ওনাদের দিক থেকে এলেও ভাল হয়। তাহলেই উত্তরবঙ্গের ঠিকঠাক উন্নতি হবে।’ শেষে মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘আজকে সব ইতিবাচক কথা বলেছে। ওকে একটা রসগোল্লা খাইয়ে দিও। যাতে আরও মোটা হতে পারে।’