আবাসনের নীচে পড়েছিল নিথর দেহটা। ছুটে এসেছিলেন চারপাশের লোকজন। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। তবে ঘটনা যে এখানেই শেষ তা নয়। দেহটি ছ💃িল ৭৭ বছর বয়সি অমূল্য সমাদ্দারের। আর ঘরের ভেতর থেকে উদ্ধার তাঁর স্ত্রীর দেহ। নাম গীতা সমাদ্দার। বয়স ৬১বছর। সোমবার রাতে আনন্দপুর থানা এলাকার নোনাডাঙা বাল্মীকি আম্বেদকর আবাসনের নীচে থেকে উদ্ধার হয়েছে বৃদ্ধের দেহ। এদিকে ওই ব্যক্তির পকেটে একটা সুইসাইড নোট মিলেছে। কী আছে তাতে?
সূত্রের খবর, গত প্রায় ১০ বছর ধরে বিছানায় শয্যাশায়ী গীতাদেবী। প্যারালাইসিস অবস্থায় ♕তিনি বিছানায় শয্য়াশায়ী। স্ট্রোকের পর থেকেই তিনি আর উঠতে পারেননি। স্ত্রীর দেখাশোনা করতেন অমূল্যবাবু। তবে ইদানিং নিজেও অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন। বয়সের ভারে ক্রমেই দিশেহারা হয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। কী করবেন বুঝতে পারছিলেন না।
সূত্রের খবর, অমূল্যবাবুর হৃদযন্ত্রের কিছু সমস্যা ছিল। কিছুদিন আগে তিনি চিকিৎসককে দেখিয়েছিলেন। সেখান থেকে বলা হয় তাঁর হার্টে একাধিক ব্লক রয়েছে। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি হতে বলা হয়। কিন্তু তিনি হাসপাতালে ভর্তি হলে ঘরে শয্যাশায়ী স্ত্রীকꦬে কে দেখবে? এই প্রশ্নের উত্তর জানা ছিল না বৃদ্ধের। সম্ভবত তারপরই তিনি চরম সিদ্ধান্ত নেন।
সূত্রের খ𝔍বর, ওই দম্পতির দুই মেয়ে রয়েছে। একজন ঠাকুরপুকুরে থাকেন আর অপরজন বাঁশদ্রোনীতে থাকেন। এদ𝓰িকে এক মেয়ে বাবা মাকে দেখতে ওই দিনই এসেছিলেন বলে খবর। তিনি একটু বাইরে যেতেই বৃদ্ধ এই কাণ্ড ঘটান বলে অভিযোগ।
তবে গো༒টা ঘটনায় একাকী দম্পতির অসহায়তার কথা সামনে আসছে। হয়তো বৃদ্ধের বার বার মনে হত আমি হাসপাতালে ভর্তি হলে স্ত্রীকে কে দেখবে? এরপর স্ত্রীকে শেষ করে নিজে ঝাঁপ দিলেন আবাসনের উপর থেকে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই বৃদ্ধ ভাবতেন আমি মারা গেলে স্ত্রীকে কে দেখবে? চিকিৎসার টাকা কোথায় পাবেন তা নিয়েও তিনি চিন্তায় পড়ে যান। এরপরই তিনি চরম সিদ্ধান্ত নেন। চিকিৎসকের কাছ থেকে ফিরে আসার পরেই তিনি চরমতম অবসাদে ডুবে যেতে থাকেন। তারপরই এই চরম সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি।
সুইসাইড নোটে লেখা আছে, তাঁর মৃত্যুর জন্🍃য় কেউ দায়ী নয়। তিনি স্ত্রীকে খুন করেছেন এ🍎কথাও লিখেছেন।