দক্ষিণ ২৪ পরগনা বারুইপুরে খনিজ তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের ভাণ্ডার রয়েছে বলে জল্পনা শুরু হয়েছে। বছর তিনেক আগে সেখানকার মাটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছে ওএনজিসি। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, সেখানে প্রাকৃতিক গ্যাস এবং তেল মজুত থাকতে পারে। তাই এবার বারুইপুরের বেগমপুরে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে খোঁড়াখুঁড়ির কাজ শ🦋ুরু করতে চলেছে ওএনজিসি। এর জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে সংস্থাটি।
আরও পড়ুন: প্রাকৃতিক গ্যাস মজুতের জন্য বিকল্প ভাবনা দেশের, জানালেন GAIL আধিকারি♔ক
জানা গিয়েছে, কর্মী ও আধিকারিকদের থাকার জন্য ঘর, কনফারেন্স রুম তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। এর পাশাপাশি খনন কাজের জন্য যেসব যন্ত্রের প্রয়োজন, তা আনার জন্য রাস্তা তৈরির কাজ চলছে দ্রুতগতিতে।ꦰ বেগমপুর পঞ্চায়েতের ২০০ কলোনি এলাকা থেকে প্রায় এক কিলোমিটার ভিতরে ফাঁকা মাঠে প্রাকৃতিক গ্যাস এবং তেলের ভাণ্ডার রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই খোঁড়াখুঁড়ির কাজের জন্য ইতিমধ্যেই কৃষকদের কাছ থেকে জমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। তাঁদের দু’লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। যে মেশিনের সাহায্যে খোঁড়াখুঁড়ি করা হবে, তার নাম হল রিক মেশিন। কংক্রিটের রাস্তা তৈরি হয়ে গেলে সেই মেশিনটি চলে আসবে। আর তারপরে শুরু হয়ে যাবে খোঁড়াখুঁড়ির কাজ।
স্থানীয় পঞ্চায়েতের তরফে জানানꦆো হয়েছে, ওএনজিসি দাবি করেছে, এখানে ১০০ শতাংশ প্রাকৃতিক গ্যাস ও তেলের ভাণ্ডার রয়েছে। সে কারণেই তারা খননকাজ করতে প্রস্তুত নিচ্ছে। প্রসঙ্গত, চার বছর আগে উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে প্রাকৃতিক তেল এবং গ্যাস উত্তোলন হয়েছিল। তারপর থেকেই বেগমপুরে প্রাকৃ༒তিক গ্যাস ও তেল উত্তোলনের আশায় বুক বেঁধেছিলেন গ্রামবাসীরা। কারণ এখানে তেল পাওয়া গেলে এলাকার অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পাবে।
উল্লেখ্য, এই এলাকার অধিকাংশ মানুষ বাজিশিল্পের সঙ্গে যুক্ত। ফলে তেল উত্তোলন হলে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। প্রায় এক হাজারের বেশি জমিতে এই সংস্থা কাজ করবে বলে জানা গিয়েছে। বেগমপুরের স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, তা🦋ঁরা চান এখান থেকে তেল উত্তোলন হোক। এর ফলে কর্মসংস্থান হবে। এর জন্য তাঁরা জমি দিয়েছেন। উল্লেখ্য, যেখানে কাজ হচ্ছে সেই এলাকাটি লোকালয় থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।