মুখ্যমন𝓰্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই ঘোষণা করেছিলেন, বাংলার বাড়❀ি প্রকল্পে মে মাসেই দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দেওয়া হবে। সেইমতো মঙ্গলবার এই প্রকল্পে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা ছাড়া হচ্ছে। এই প্রকল্পের প্রায় ১২ লক্ষ উপভোক্তাকে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দেওয়া হবে। এই প্রকল্পে বাকি উপভোক্তাদের তালিকা চূড়ান্ত করে চলতি বছরের ডিসেম্বরে টাকা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্য সরকারের।
আরও পড়ুন: প্রথম কিস্তিতে আ꧋বাসের নির্মাণ চলছে ধীর গতিতে, জেলাগুলিকে তৎপর হওয়ার নির্দেশ
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আটকে রাখার অভিযোগ তুলে আসছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের তরফে দাবি করা হয়েছিল, কেন্দ্রের কাছ টাকা না পেয়ে বাংলার দরিদ্র মানুষদের স্বার্থে ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্প চালু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রকল্পে উপভোক্তাদের বাড়ি 🎐তৈরির জন্য ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে। প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়া হয়েছে ১২ লক্ষ উপভোক্তাকে।
তবে মোট ২৮ লক্ষ উপভোক্তা এই সুবিধা পাবেন। প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা ১২ লক্ষ উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি পাঠি😼য়েছে রাজ্য সরকার। এবার এই ১২ লক্ষ উপভোক্তা বাকি টাকা পেতে চলেছেন। এর জন্য ৭ হাজার ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে অর্থ দফতর। বাকি ১৬ লক্ষ উপভোক্তার তালিকা চূড়ান্ত করা হবে এবং চলতি বছরের ডিসেম্বরে তাঁদের টাকা দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বরে বাড়ি তৈরির জন্য ১২ লক্ষ উপভোক্তাকে আবাসের প্রথম কিস্তির টাকা দিয়েছে রাজ্য সরকার। শর্ত ছিল বাড়ির নির্দিষ্ট অংশ পর্যন্ত নির্মাণ শেষ করতে হবে নির্দিষ্ট সমဣয়ের মধ্যে। তারপরেই দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দেওয়া হবে। মে মাসের মধ্যে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার।
তবে দেখা যায়, অর্ধেকের কম উপভোক্তা প্রথম কিস্তির🎐 টাকা পাওয়ার পর নির্দিষ্ট অংশ পর্যন্ত বাড়ি নির্মাণ করতে পেরেছিলেন। আবার অনেকেই নির্মাণের কাজে হাত দেননি। গত ১৯ এপ্রিলের মধ্যে প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ করার সময় বেঁধে দিয়েছিল রাজ্য সরকার। তবে দেখা যায়, ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী সবচেয়ে পিছিয়ে থাকে জলপাইগুড়ি জেলা। পরে নবান্ন গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকে নির্দেশ দেয়, বাড়ি বাড়ি গিয়ে দ্বিতীয় পর্যায়ের সমীক্ষা শুরু করতে হবে এবং দ্রুত কাজ সম্পন্ন করার জন্য চাপ ꦛদিতে হবে। তারপরেই আজ দ্বিতীয় কিস্তির টাকা ছাড়তে চলেছে রাজ্য সরকার।